শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
খবরে ইরানের সামরিক বাহিনীর বিবৃতির বরাত দিয়ে বলা হয়, ওই দুর্ঘটনা ছিল একটি ‘মানব ত্রুটি’।
এর আগ পর্যন্ত ইরান তাদের ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়েছে এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছিল।
একই দিনে জেনারেল কাসেম সোলেমানি হত্যার বদলা নিয়ে ইরান ইরাকের বাগদাদে মার্কিন দুটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ওই সামরিক অভিযানকালেই এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা প্লেনটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকেই দাবি করে আসছিল ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাতেই ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
সে সময় কিছু মার্কিন সংবাদমাধ্যম এভাবেই জল্পনাকল্পনা করছিল যে, সম্ভবত ইউক্রেনের যাত্রীবাহী প্লেনটিকে মার্কিন যুদ্ধবিমান ভেবে ভূপাতিত করে ইরান। তারা হয়তো ভেবেছিল বাগদাদে মার্কিন স্থাপনায় হামলার প্রতিশোধ নিতে তাদের আকাশসীমায় ঢুকেছে মার্কিন যুদ্ধবিমান।
বুধবার সকালে তেহরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছু পরেই ইউক্রেনিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং-৭৩৭ মডেলের প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়। প্লেনটিতে যাত্রী-ক্রু মিলে মোট ১৭৬ জন আরোহী ছিলেন। এটি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ হয়ে কানাডার টরেন্টোর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
এইচজে