কলকাতার গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, ছাত্র-যুবক থেকে অশীতিপর বৃদ্ধা পর্যন্ত আজ রাস্তায় নেমে ‘মোদী গো ব্যাক’ লেখা প্ল্যাকার্ড দেখিয়ে বিক্ষোভে শামিল হন। রাজনৈতিক পরিচয় নয়, স্বতঃস্ফূর্ত আবেগে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের মিছিল এসে কলকাতার ফুসফুস ধর্মতলায় গর্জে ওঠে।
কোনও প্রধানমন্ত্রীর সফরে সাম্প্রতিক অতীতে কলকাতা জুড়ে এমন বিক্ষোভের নজির নেই। গত কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভের আগাম প্রস্তুতি ছিল প্রকাশ্যে।
মোদী যখন বিমানবন্দরে নামেন, বাইরে তখন বিক্ষোভের ঢল। জাতীয় পতাকা, কালো বেলুন, কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বাম-কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। ‘মোদী গো ব্যাক’ স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে ওই চত্বর। বিক্ষোভ চলে যাদবপুর, কলেজ স্ট্রিট, গোলপার্ক, ধর্মতলা, হাতিবাগান, রাজারহাট-সহ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে।
কড়া নিরাপত্তা ছিল। মোদী বিমানবন্দর তেকে হেলিকপ্টারে করে এসে নামে রেস কোর্সে। সেখানেও আগে থেকেই জড়ো হয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। তারাও মোদীর উদ্দেশে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিয়ে কাঁপিয়ে তোলেন আকাশ। কালো পাতাকা দেখান। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। ভিআইপি রোডে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।
রেসকোর্স থেকে মোদীর কনভয় রাজভবনে পৌঁছায়। সেখানে তাকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারা বৈঠকে মিলিত হন। রাজভবন থেকে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার সাংবিধানিক দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো। ’
মমতা আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের ২৮ হাজার কোটি টাকা পাওনা আছে। বুলবুলের সাত হাজার কোটি টাকা পাওনা আছে। সিএএ, এনপিআর এবং এনআরসির বিরুদ্ধে আমরা। মানুষে মানুষে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমরা। আমরা চাই, সিএএ এবং এনআরসি বাতিল করুন। ’
কলকাতায় দু’দিনের সফরে এসেছেন মোদী। কলকাতা বন্দরের দেড়শ’ বছর পূর্তি উপলক্ষে মিলেনিয়াম পার্কে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
এজে