ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

যুদ্ধবিরতি চুক্তির সংলাপে বসছে লিবিয়া সরকার-বিদ্রোহী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
যুদ্ধবিরতি চুক্তির সংলাপে বসছে লিবিয়া সরকার-বিদ্রোহী লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী ফাইয়াজ আল-সারাজ (বামে) ও বিদ্রোহী জেনারেল খলীফা হাফতার (ডানে)

লিবিয়ায় জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যমতের সরকার (জিএনএ) ও পূর্বাঞ্চলের বিদ্রোহী জেনারেল খলীফা হাফতারের অনুগত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে রাশিয়ার মস্কোতে দ্বিপাক্ষিক সংলাপে বসছে উভয় পক্ষ।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রুশ ও লিবিয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ সংবাদ জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।  

সংলাপে অংশ নেওয়ার জন্য লিবিয়ার জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফাইয়াজ আল-সারাজ এবং বিদ্রোহী জেনারেল খলীফা হাফতার ইতোমধ্যে মস্কোতে পৌছেছেন।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া যাকারোভার বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গে ল্যাভরব ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্গেই শোইগু এবং তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুশওলু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার এ সংলাপে উপস্থিত থাকবেন।

এর আগে, রোববার (১২ জানুয়ারি) লিবিয়ায় যুদ্ধবিরতির জন্য তুরস্ক ও রাশিয়ার যৌথ আহ্বানে সাড়া দেয় লিবিয়ায় যুদ্ধরত দু’পক্ষ।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) ইস্তাম্বুলে এরদোগান ও পুতিনের মধ্যে এক বৈঠকের পর তুরস্ক ও রাশিয়া এক যৌথ ঘোষণায় লিবিয়ায় সংঘাতে জড়িত সব পক্ষকে যুদ্ধবিরতির এ আহ্বান জানানো হয়।

তাৎক্ষণিকভাবে জেনারেল হাফতার এ আহ্বান প্রত্যাখ্যান করলেও শনিবার (১১ জানুয়ারি) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে এক টেলিফোন সংলাপের পরপরই যুদ্ধবিরতির আহ্বানে সাড়া দেন জেনারেল হাফতার।

সম্প্রতি লিবিয়ার সরকার হাফতার বাহিনীর আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্কের কাছে ‘জল, স্থল ও আকাশ পথে’ সাহায্যের জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদন জানায়। ইতোমধ্যে লিবিয়ার সরকারকে সহায়তার জন্য তুরস্ক দেশটিতে সেনা পাঠানো শুরু করেছে।

জাতিসংঘের দেওয়া তথ্যমতে, গত বছরের এপ্রিল থেকে রাজধানী ত্রিপোলি দখলের জন্য হাফতার বাহিনীর দফায় দফায় হামলায় দু’হাজার যোদ্ধা এবং ২৮০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

২০১১ সালে আরব বসন্তের প্রভাবে বিক্ষোভ ও গৃহযুদ্ধে লিবিয়ার দীর্ঘকালীন শাসক মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফির পদচ্যুতি ও নিহত হওয়ার পর দেশটি দু’পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে। জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার সরকার রাজধানী ত্রিপোলিসহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন এবং বেনগাজিকে কেন্দ্র করে মিশর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থিত বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলের দখল নেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।