ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এরইমধ্যে চীনে তিনশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। চীনের বাইরে ফিলিপাইনে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
তবে প্রথম কবে এ ভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয় এবং কীভাবে ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে, একনজরে সে তথ্য দেখে নেওয়া যাক।
ডিসেম্বর ৮, ২০১৯: উহানে করোনা ভাইরাসের লক্ষণের প্রথম রোগী দেখা যায়।
ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু’র কাছে ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর তথ্য আসতে শুরু করে।
জানুয়ারি ১, ২০২০: উহানের সামুদ্রিক ও বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানুয়ারি ৭, ২০২০: চীনের বিজ্ঞানীর নতুন ভাইরাসটির প্রথম রোগজীবাণু শনাক্ত করতে সক্ষম হন।
জানুয়ারি ৯, ২০২০: করোনা ভাইরাসে প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়।
জানুয়ারি ২০, ২০২০: উহানের বাইরে বেইজিং ও শেনজেনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
জানুয়ারি ২৩, ২০২০: উহানে বিভিন্ন পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বিভিন্ন শহরে লোকজন প্রবেশ ও বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। যার ফলে প্রায় ৬ কোটি লোক ‘কার্যত অবরুদ্ধ’ হয়ে পড়েন। এ সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য আসতে শুরু করে। আর বলা হয়, আক্রান্তরা সম্প্রতি উহান ভ্রমণে গিয়েছিলেন। তবে এ সময় পর্যন্ত হু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেনি।
জানুয়ারি ২৮, ২০২০: মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে করোনা ভাইরাসে শতাধিক রোগীর মৃত্যু হয়। আর ভাইরাসে শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডে আক্রান্তের সংখ্যা ২০০৩ সালের সিভিয়ার অ্যাকচু রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা সার্স রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে যায়।
জানুয়ারি ৩০, ২০২০: এ পর্যায়ে বিশ্বব্যাপী জরুরি স্বাস্থ্য ঘোষণা করে হু।
জানুয়ারি ৩১, ২০২০: তিনদিনের ব্যবধানে ভাইরাসে মৃত্যু দুই শতাধিক ছাড়িয়ে যায়।
ফেব্রুয়ারি ২, ২০২০: করোনা ভাইরাসে চীনের ভূখণ্ডেই তিন শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। এদিন চীনের বাইরে ফিলিপাইনে এ ভাইরাসে প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
জেডএস