ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

শরীরে করোনা নেবে এমন স্বেচ্ছাসেবী চায় ব্রিটেন! 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০
শরীরে করোনা নেবে এমন স্বেচ্ছাসেবী চায় ব্রিটেন! 

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের করাল গ্রাস থামানোই যাচ্ছে না। থামছে না মৃত্যুর মিছিল বা আক্রান্তের সংখ্যা। এদিকে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারে হালে পানি পায়নি কোনো দেশই। তবে চলছে জোর প্রচেষ্ঠা। এরই অংশ হিসেবে মানব শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে করোনা ভাইরাসের জীবাণু ঢুকিয়ে গবেষণার জন্য স্বেচ্ছাসেবী খুঁজছে যুক্তরাজ্য। এ ধরনের গবেষণার মধ্য দিয়ে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারে এগিয়ে যাওয়া যাবে বলে মনে করছে যুক্তরাজ্যের একটি গবেষণা সংস্থা।

তবে মুফতে এমন স্বেচ্ছাসেবী খোঁজা হচ্ছে, তা নয়। যারা এই গবেষণায় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অংশ নেবেন তাদের প্রত্যেককে পারিশ্রমিক হিসেবে ৭ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ লাখ টাকা) দেওয়ার প্রস্তাব করেছে এইচভিভো নামের লন্ডনভিত্তিক ওই গবেষণা সংস্থা।

 

মঙ্গলবার (১০ মার্চ) অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক সংবাদ সংস্থা নাইন নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

খবরে বলা হয়, এই গবেষণায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবীদের শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবাণু ঢুকিয়ে দুই সপ্তাহের জন্য একটি ল্যাবরেটরিতে অন্তরীণ (কোয়ারেন্টাইন) রাখা হবে। এ সময়ে তাদের অন্য কোনো মানুষের সংস্পর্শেও যেতে দেওয়া হবে না। স্বেচ্ছাসেবীদের খাবারের তালিকাও হবে নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট অনুসারে।  

তবে, সাবধানতার জায়গা থেকে এ গবেষণায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবীদের শরীরে বর্তমান বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী কভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের জীবাণু দেওয়া হবে না, বরং করোনা পরিবারেরই তুলনামূলক মধ্যম মাত্রার অন্য দুই ভাইরাস ০সি-৪৩ ও ২২৯ই-এর জীবাণু সংক্রমিত করা হবে। কিন্তু এ দুই করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করেই কভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের পথে এগিয়ে যাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।  

এইচভিভো জানায়, ২৪ জন করে স্বেচ্ছাসেবীর দল দিয়ে এ গবেষণা পরিচালিত হবে।  

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এই গবেষণা পরিচালনায় আমরা সুস্থ সবল স্বেচ্ছাসেবীদের আমন্ত্রণ জানাই। প্রতিষেধক আবিষ্কারে তাদের প্রচেষ্টাকে আমরা স্বাগত জানাই। যারা এতে অংশ নেবেন তাদের কফ ও ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।  

এতে অংশ নেওয়া স্বেছাসেবীদের কোয়ারেন্টাইনকালে পরিবার বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে না। চিকিৎসক ও নার্সরাও এতে সুরক্ষিত পোশাক পরে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছে এইচভিভো।  

এইচভিভোর এ গবেষণা কার্যক্রম এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল রিসার্চ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠানের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে বলে খবরে জানানো হয়।  

আগামী বছরের প্রথমদিকে কভিড-১৯-এর প্রতিষেধক আবিষ্কার করা সম্ভব হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০  
এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।