পরিস্থিতি এত খারাপ হয়েছিল, পুলিশও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিল না। বাধ্য হয় লাঠির তাড়া করতে।
করোনা ভাইরাসের অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্যবিধি শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা। সেটাই যখন মানছিলেন না কেউ, তখন দোকানগুলো বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না কর্তৃপক্ষের। তবে যারা এটা নিয়মিত সেবন করে আসছেন, তাদের তো কিছু হলেও চাই। তাই বিকল্প পদ্ধতি হাতে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দেশজুড়ে রাজ্যগুলোকে মদের পরোক্ষ বিক্রি বা হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা বিবেচনায় নিতে পরামর্শ দিয়েছেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। এবং করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানতে দোকানগুলোতে নূন্যতম ভিড় এবং শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতের বিষয়টি ভাবনায় রেখে সরাসরি মদ বিক্রি নিষিদ্ধ করেছেন।
শুক্রবার (০৮ মে) ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে যোগাযোগ, ভিড় এড়িয়ে কীভাবে মদ বিক্রি করা যায়, রাজ্যগুলোর সে চিন্তা করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে হোম ডেলিভারি খুবই কার্যকর বলে মনে করছে সর্বোচ্চ আদালত।
এরপর পিআইএল (জনস্বার্থ মামলা) গ্রহণের আবেদন অস্বীকার করে লকডাউন চলাকালীন সরাসরি মদ বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, কোনো নির্দেশ জারি না করা হলেও শারীরিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখে রাজ্যগুলোর মদের হোম ডেলিভারির বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।
এর প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে জমায়েত এড়াতে পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও ছত্তিশগড় সরকার মদের হোম ডেলিভারি করার কথা ঘোষণাও দিয়ে বসেছে। শুধু তা-ই নয়, দিল্লি সরকারও মদের হোম ডেলিভারি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। একটি নির্ধারিত সময়ে মদ কেনার জন্য ওয়েবসাইটে ই-টোকেন ব্যবস্থা চালু করেছে তারা।
এর আগে তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউনে দেশব্যাপী মদের দোকান খোলার ব্যাপারে ছাড় দিয়েছিল ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত সোমবার (০৪ মে) সকালে দেশজুড়ে মদের দোকান খুলেছিলেন বিক্রেতারা। কিন্তু তাতে ঘটে মহা বিপত্তি!
আরও পড়ুন>> ভারতে মদের দোকান খুলতেই হুলুস্থুল, নিয়ন্ত্রণে পুলিশ
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২০
টিএ