ট্রাম্প জানান, শহর ও রাজ্যগুলোতে যদি বিক্ষোভকারীরা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তবে জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনী পাঠানো হবে ও সমস্যার সমাধান করা হবে।
হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘দাঙ্গা, লুটপাট, ভাঙচুর, হামলা এবং সম্পত্তির অযথা ধ্বংস বন্ধে হাজার হাজার ও ভারী সশস্ত্র সৈন্য, সামরিক কর্মী এবং আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের পাঠাচ্ছি।
এর আগে গত ২৫ মে মিনেয়াপোলিসে ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েড স্থানীয় পুলিশের হাতে নিহত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে সহিংসতা শুরু হয়। যেখানে সাত দিন থেকে চলতে থাকা এই বিক্ষোভের কারণে বড় বড় সব শহরেই কারফিউ জারি করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত নিউ ইয়র্ক সিটিতে লকডাউন দেয়া হয়। আর ওয়াশিংটন ডিসি লকডাউনের সময়সীমা আরও দুই রাত বাড়িয়ে দেয়।
তবে পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে সহসাই এই আন্দোলন থামছে না। মূলত রাস্তায় ফ্লয়েডকে আটক করে তার ঘাড়ে পুলিশ হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে রাখার ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পরই আন্দোলন শুরু হয়।
এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত অফিসার ডেরেক শাওভিনের ওপর ইতোমধ্যে তৃতীয় মাত্রার হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তাকে আগামী সপ্তাহে আদালতে ওঠানো হবে। এছাড়া অভিযুক্ত আরও তিন পুলিশ অফিসারকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবারই অবশ্য অফিসিয়াল ময়না তদন্তে নিশ্চিত করা হয়, ফ্লয়েডকে হত্যা করা হয়েছে।
এর আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, শুক্রবার রাতে নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রায় এক ঘণ্টা বাঙ্কারে অবস্থান করেন ট্রাম্প। দেশব্যাপী বিক্ষোভের জেরে শনিবার (৩০ মে) রাতেও প্রেসিডেন্টকে বাঙ্কারে নেওয়া হয় কিনা, সে ব্যাপারে প্রতিবেদনে কিছু জানানো হয়নি। জর্জ ফ্লয়েড নিহতের ঘটনায় শনিবারেই সবচেয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২০
এমএমএস