সোমবার (১ জুন) সিএনএন এ তথ্য জানায়।
এক বিবৃতিতে ইউনিসেফ জানায়, আরও যে চারজন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন এবং মৃতদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন, তাদের মবানডাকার ওয়াঙ্গাতা হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়েছে।
ওই পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে ১৮ মে থেকে ৩০ মের মধ্যে কিন্তু সোমবার নিশ্চিত করা হয় যে, তারা ইবোলায় মারা গেছেন।
সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাসচিব তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস এক টুইটে জানান, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ইকুয়েটর প্রদেশের মবানডাকায় ছয়জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে কঙ্গোতে একাদশ বারের মতো প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলো। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর হার ২৫ থেকে ৯০ শতাংশ।
২০১৮ সালে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, যা দমনে এখনো হিমশিম খাচ্ছে দেশটি। এতে ওই অঞ্চলে ৩ হাজার ৪০৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২ হাজার ২৪৩ জন। তবে গত ২১ দিনে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়নি। কেউ ইবোলায় আক্রান্ত হলে, ২১ দিনের মধ্যে তার শরীরে উপসর্গ দেখা দেয়। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা, ওই অঞ্চল ইবোলামুক্ত হয়েছে। তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও ২১ দিন অপেক্ষা করবে সংস্থাটি।
কঙ্গোতে বিশ্বে হামের সর্বোচ্চ প্রাদুর্ভাব এবং করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই নতুন করে ইবোলা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মধ্য আফ্রিকার এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ১৯৫ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৭২ জন। তাছাড়া, ২০১৯ সাল থেকে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার মানুষ হামে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৬ হাজার ৭৭৯ জন।
এখন পর্যন্ত ইবোলার সর্বাধিক সংক্রমণ দেখা গেছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়া, সিয়েরা লিওন এবং গিনিতে ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালে। এতে ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৭ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২০
এফএম