শুক্রবার (৫ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় ব্রাজিল সরকার জানায়, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় নতুন করে ১ হাজার ৪৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে দেশটিতে ৬ লাখেরও বেশি মানুষকে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। শনাক্তের সংখ্যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরপরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে ব্রাজিল।
খবরে বলা হয়, দিন দিন ব্রাজিলে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সেখানকার সরকারকে নির্ভরযোগ্যতার সঙ্গে করোনা সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করতে ব্যর্থ বলেও অনেকের মত।
ব্রাজিলে করোনা প্রতিরোধের ব্যাপারে শুরু থেকেই গড়িমসি করা হচ্ছে। এ ভাইরাসকে উপেক্ষা করে আসছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জায়ের বোলসোনারো। ফলে এক ঠেকাতে যথাযথ লকডাউন বা অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে দেশটির বিভিন্ন প্রাদেশিক গভর্নরের সঙ্গে বোলসোনারর মতোপার্থক্য প্রকট। বোলসোনারো এখন পর্যন্ত লকডাউনের বিপক্ষে। কর্তৃপক্ষের এই অনৈক্য ও দ্বিধাই দেশটিতে অনেক মানুষকে অবহেলাজনিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের লাইভেও গভর্নরদের লকডাউন নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছে বোলসোনারো। তার মতে করোনায় প্রাণহানির চেয়েও লকডাউনের ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি আরও অনেক ভয়াবহ হবে।
এদিকে এরই মাঝে অনেক গবেষক হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে আগস্টের প্রথম দিক নাগাদ ব্রাজিলে করোনায় সোয়া লাখের মতো মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২০
এইচজে