শনিবার (৬ জুন) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ কমায় মধ্য এপ্রিল থেকে লকডাউন শিথিল করতে শুরু করে ইরান।
শনিবার এক বক্তব্যে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিতে রুহানি বলেন, ‘একটি এলাকায় প্রাদুর্ভাব (করোনা ভাইরাসের) বাড়তে দেখেছি আমরা। এর উৎস একটি বিয়ের অনুষ্ঠান, যা জনগণ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করেছে এবং অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ’
তবে বিয়েটি কোথায় হয়েছিল, তা বলেননি রুহানি।
এদিকে শুক্রবার (৫ জুন) ইরানে ২ হাজার ৮৮৬ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করা হয়। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৫৬। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৮ হাজার ১৩৪ জন।
আগেই দ্বিতীয় সংক্রমণের হুঁশিয়ারি জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। তবে পরীক্ষার হার বাড়া শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার একটি কারণ বলেও জানান তারা। এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, তেহরানের নতুন শনাক্তদের প্রায় ৭০ শতাংশই সম্প্রতি রাজধানীর বাইরে ভ্রমণ করেছেন।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় ইরানের অর্থনীতি আগেই বিপর্যস্ত ছিল। এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসের কারণে জনজীবন ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম সীমিত হয়ে যাওয়ায় তা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রুহানি বলেন, ‘এ পরিস্থিতিতে আমাদের হাতে আর কোনো উপায় নেই। আমাদের কাজ করতে হবে, কারখানা চালু রাখতে হবে, দোকান খোলা রাখতে হবে এবং দেশে যতটুকু প্রয়োজন চলাচলের সুযোগ থাকতে হবে। ’
অন্যদিকে, প্রায় সাড়ে তিন মাস বন্ধ থাকার পর শনিবার ইরানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২০
এফএম