ব্র্যাকের তথ্য অনুযায়ী, করোনার কারণে বিদেশের মাটিতে মোট ১৯টি দেশে অন্তত এক হাজার ৩৭৭ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন দেশে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৭০ হাজার।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রবাসী রয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। সেখানকার ছয়টি দেশেই অন্তত ৭৫৩ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে আবার সৌদি আরবে মোট মৃত্যুর ২৫ ভাগই বাংলাদেশিদের।
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে মোট সোয়া দুই লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত। ৫ জুলাই পর্যন্ত মারা গেছেন দুই হাজার ১০০ জন। এরমধ্যে ৫২১ জনই বাংলাদেশি। অর্থাৎ সৌদি আরবে করোনায় মৃতদের এক চতুর্থাংশই প্রবাসী বাংলাদেশি।
ব্র্যাকের তথ্য অনুযায়ী, সৌদিতে প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি সংক্রমিত হয়েছেন। এদের মধ্যে বড় অংশই অবশ্য সুস্থ হয়ে গেছেন।
সৌদি আরবের পর করোনায় সবচেয়ে বেশি প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। উপসাগরীয় দেশটিতে করোনায় মৃত্যুবরণকারী ৩২৮ জনের ১২২ জনই বাংলাদেশি নাগরিক। দেশটিতে মোট আক্রান্ত সাড়ে চার হাজার।
কুয়েতে চার হাজার বাংলাদেশি আক্রান্ত। এরমধ্যে ০৫ জুলাই পর্যন্ত ৬০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। দেশটিতে ০৯ জুলাই পর্যন্ত মোট ৫২ হাজার ৮০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৩৮২ জন।
ওমানে করোনায় এ পর্যন্ত ২০ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। দেশটিতে মোট প্রাণহানির সংখ্যা ২৩৬। পজিটিভ হয়েছেন প্রায় ৫২ হাজার।
কাতারে প্রায় ১২ হাজার বাংলাদেশি আক্রান্ত। এরমধ্যে মারা গেছেন ১৮ জন। ০৯ জুলাই পর্যন্ত দেশটিতে সর্বমোট এক লাখের উপরে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১৪২ জন। বাহরাইনে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার বাংলাদেশি। এরমধ্যে মারা গেছেন নয়জন।
যুক্তরাজ্যে ৩০৫ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্ত সংখ্যা ১৫ হাজারের বেশি।
এখন পর্যন্ত প্রবাসে সবচেয়ে বেশি; ২৩ হাজার বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন সিঙ্গাপুরে। তাদের বেশিরভাগই শ্রমিক। তবে সেখানে তারা সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা পেয়েছেন। দেশটিতে বাংলাদেশের দুইজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। তবে প্রায় এক হাজার জন আক্রান্ত হলেও মালদ্বীপে কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু হয়নি।
এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে বাংলাদেশিরাও ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২৭২ জন। এই দেশটিতেও আক্রান্ত ১৫ হাজারের উপরে।
করোনা ভাইরাসে ইউরোপের মধ্যে প্রথম দিকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইতালি। এরমধ্যে দেশটিতে প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের।
এছাড়া ০৫ জুলাই পর্যন্ত কানাডায় নয়জন, সুইডেনে আটজন, ফ্রান্সে সাতজন, স্পেনে পাঁচজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে করোনা ভাইরাসে। পাশাপাশি ভারত, মালদ্বীপ, পর্তুগাল, কেনিয়া, লিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও গাম্বিয়ায় একজন করে বাংলাদেশি মারা গেছেন বলে খবর রয়েছে। তবে করোনা ভাইরাসের আঁতুড়ঘর চীনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রক্ষা পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২০
টিএ