সূত্র জানায়, অলি সরকারকে ক্ষমতাসীন রাখতে নেপালে চীনের রাষ্ট্রদূত হু ইয়াংকি দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা ও নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন।
চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার সুস্পষ্ট নির্দেশনায় এ চীনা দূত নেপালের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নিজের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন।
নেপালের ক্ষমতাসীন দল এনসিপিতে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। এনসিপির জ্যেষ্ঠ নেতা মাধব কুমারের সঙ্গে দেখা করে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হু ইয়াংকি। প্রধানমন্ত্রী কেপি অলির ওপর পদ ছাড়ার চাপ শুরু হলে, তিনি প্রেসিডেন্ট বিদ্যা ভণ্ডারির সঙ্গেও দেখা করেছেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত এবারই প্রথম সংকটময় মুহূর্তে নেপালের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন তা নয়। দেড় মাস আগে এনসিপির অন্তর্দ্বন্দ্ব যখন চরমে পৌঁছায়, তখন তিনি প্রেসিডেন্ট ভণ্ডারি, প্রধানমন্ত্রী অলি এবং জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
মতবিরোধ নিরসনে গত সপ্তাহে এনসিপির এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান এবং নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কামাল দহল প্রচণ্ডর সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক করেন কেপি অলি। এর আগে ক্ষমতাসীন দল এনসিপির স্ট্যান্ডিং কমিটির ৪৫ সদস্যের একটি বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা পিছিয়ে যায়। এ বৈঠকের ওপরই ৬৮ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী অলির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।
মূলত ক্ষমতা ভাগ নিয়ে এনসিপিতে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। এর একদিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অলি এবং অন্যদিকে প্রচণ্ড। প্রধানমন্ত্রী একাই সিদ্ধান্ত নিয়ে বাজেট অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়ায় এ দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছায়।
প্রচণ্ডর পক্ষে থাকা এনসিপির জ্যেষ্ঠ নেতা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাধব নেপাল ও ঝালানাথ খনাল অলির পদত্যাগ দাবি করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২০
এফএম