ঢাকা, সোমবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

দুর্বল দেশে ফায়দা লোটার চীনা কৌশল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০
দুর্বল দেশে ফায়দা লোটার চীনা কৌশল

চীন যেসব দুর্বল দেশে ফায়দা লুটতে চায়, সেসব দেশে একটি বিশেষ কৌশল প্রয়োগ করে। আর সে কৌশল হলো, সেসব দেশের দুর্নীতিবাজ নেতাদের ব্যবহার করা। নেপালি পত্রিকা গ্লোবাল ওয়াচ অ্যানালাইসিস (জিডব্লিউএ)-এর এক নিবন্ধে এমন মন্তব্য করা হয়েছে। নিবন্ধটি লিখেছেন রোনাল্ড জ্যাকুয়ার্ড।

নিবন্ধে বলা হয়েছে, দুর্বল দেশে চীন যে দুর্নীতিপরায়ণ নেতাদের ব্যবহার করছে তার উদাহরণ হলো নেপাল। চীনা কোম্পানিগুলো নেপালে শুধু ব্যবসা-বাণিজ্যই বাড়াচ্ছে না, দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব বিস্তারের জন্য চীন দেশটির রাজনীতিতেও নাক গলাচ্ছে।

 

চীনের প্রভাব নেপালের প্রধানমন্ত্রীরও ওপরও পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিগত বছরগুলোয় প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির ব্যক্তিগত সম্পদ বেড়ে গেছে। আর সে সম্পদ বিদেশে সরিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে।  

জ্যাকুয়ার্ডের মতে, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় মিরা বড ব্যাংকে অলির অ্যাকাউন্টে ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার আছে। বড় বড় ব্যবসার ক্ষেত্রে রফা হিসেবে চীনাদের সহায়তায় পাওয়া অর্থ খাটিয়ে বিদেশে অলি ও তার স্ত্রী রাধিকা শাক্য বছরে প্রায় ৫ লাখ ডলার মুনাফা পাচ্ছেন।

অলি ২০১৫-১৬ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় নেপালে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত উ চুনতাইর সহায়তা নিয়ে কম্বোডিয়ায় টেলিযোগাযোগ খাতে বিনিয়োগ করেন। অলির ঘনিষ্ঠ নেপালী ব্যবসায়ী আং শেরিং শেরপা বিষয়টি চূড়ান্ত করেন। নিবন্ধকারের দাবি, অভিযোগ আছে- এ ব্যাপারে শেরপা কম্বোডীয় প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের হস্তক্ষেপ আদায়ের ব্যবস্থা করেছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।