জুনের শেষের দিকে বন্যায় তেমন প্রাণহানী না হলেও জুলাইয়ের বানে কমপক্ষে ৭৯ জন মারা গেছেন আসামে। বাংলাদেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী রাজ্যটিতে বন্যা দেখা দিলে দেশেও ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
আসাম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির (এএসডিএমএ) বরতা দিয়ে এএনআই তার খবরে জানিয়ে, শনিবার পর্যন্ত তীব্র বন্যায় কমপক্ষে ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এএসডিএমএ জানিয়েছে পৃথিবীর অন্যতম বড় নদী ব্রহ্মপুত্রের পানি রাজ্যের বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে ২৬টি জেলার নিন্মাঞ্চল।
এতে ২ হাজার ৬৭৮ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছে ২৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭১৯ জন মানুষ। ক্ষতি হয়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ৪০৪ হেক্টর জমির ফসল।
রাজ্য সরকার ৬৪৯টি সহায়তা কেন্দ্র খুলেছে। ইতিমধ্যে ৪৭ হাজার ৪৬৫ জনকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। নৌযান নিয়োজিত করা হয়েছে ১৮১টি, এতে ৫১১ জনকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে। এদিকে কাজীরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন্যায়। উদ্যানের ৯৬টির মতো প্রাণী মারা গেছে বন্যার পানিতে।
বাংলাদেশেও ব্রহ্মপুত্রসহ উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বেড়ে অন্তত ২৬ জেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে ১০ জেলার বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বর্ষণ বেড়ে গেলে আবারও পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আভাস রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২০
ইইউডি/এসআইএস