ঢাকা, সোমবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত সাবেক মালয় প্রধানমন্ত্রী নাজিব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২০
দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত সাবেক মালয় প্রধানমন্ত্রী নাজিব মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক।

রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার চুরির ঘটনায় দুর্নীতি মামলার সাতটি অভিযোগের মধ্যে সবগুলোতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক।  তিনি দুর্নীতির অভিযোগে দোষী প্রমাণিত প্রথম মালয় নেতা।

মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) মালয়েশিয়ার উচ্চ আদালত এ রায় দেন। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।

বিচারক মোহাম্মদ নাজলান গাজালি বলেন, মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় তহবিল ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ (ওয়ান এমডিবি) থেকে ৪২ মিলিয়ন রিঙ্গিত (৯ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার) নিজের ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করার সপক্ষে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে ব্যর্থ হয়েছে আসামি পক্ষ।

রায় পড়ার এক পর্যায়ে বিচারক নাজলান বলেন, ৬৭ বছর বয়সী নাজিদ, যিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন, তিনি ‘অনুমোদিত আচরণের সীমা লঙ্ঘন করে’ ঋণের অনুমোদন দিয়েছেন। এটি তার অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত তহবিলের একটি উৎসে পরিণত হয়েছিল।

এসময় আদালতে নাজিবের সন্তান মোহাম্মদ নিজার নাজিব, রিজা শাহরিজ আবদুল আজিজ এবং নোরাশমান নাজিব উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, আদালতের বাইরে নাজিবের শত শত সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্তির খবর পাওয়ার পর তারা দাবি করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এ রায় দেওয়া হয়েছে।

দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় নাজিবের কয়েক দশকের কারাদণ্ড এবং মোটা অংকের অর্থদণ্ড হতে পারে। এছাড়া, মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী, এসব অপরাধে তাকে বেত্রাঘাত করার দণ্ডও দেওয়া হতে পারে। তবে বয়সের কারণে তিনি এ থেকে ছাড় পেতে পারেন।

নাজিব রাজাক মালয়েশিয়ার ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। ওয়ান এমডিবি কেলেঙ্কারির পর গণবিক্ষোভের মুখে ২০১৮ সালের মে মাসে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয় নাজিবের সরকার। পরে এ সংক্রান্ত পাঁচটি মামলা হয়। প্রথম মামলার সাতটি অভিযোগেই দোষী প্রমাণিত হয়েছেন নাজিব।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২০
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।