গ্লোবাল ওয়াচ অ্যানালাইসিসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই নিজেদের এজেন্ডা আরও এগিয়ে নিতে ফ্রান্স, থাইল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশে পরিচালিত পাকিস্তানি অপরাধ সিন্ডিকেটগুলো ব্যবহার করে আসছে।
সম্প্রতি পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) অর্থ পাচারসহ দেশে একাধিক অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বাকর শাহ নামে এক পাকিস্তানি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে থাইল্যান্ড পুলিশ।
থাই কর্তৃপক্ষ তাকে প্রথম লক্ষ্য করেছিল, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে চিয়াং মাইয়ের মার্কিন কনস্যুলেটের বাইরে আমেরিকাবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশের সময়। এরপর ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আবার তার নাম আসে, যখন দেশের জাল পাসপোর্ট সিন্ডিকেট ফাঁস এবং ইরানি নাগরিক হামিদ রেজা জাফারি এবং পাঁচজন পাকিস্তানিকে গ্রেফতার করা হয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, গ্রেফতার ওই ছয়জন বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের জাল নথি সরবরাহ ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এছাড়া হামিদ রেজা জাফারি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশের নিরাপত্তা সংস্থার ওয়ান্টেড তালিকায়ও ছিলেন।
একটি তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, জাফারি ও তার পাঁচ পাকিস্তানি সহযোগী অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপ ভ্রমণের জন্য উপসাগরীয় দেশগুলোর লোকদের কাছে নকল পাসপোর্ট সরবরাহ করতেন। আবার এও বেরিয়ে এসেছে, পাকিস্তানি ওই পাঁচজনের একজন, গোহর জামানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল সম্প্রতি গ্রেফতার বাকর শাহের।
এছাড়া থাই নিরাপত্তা সংস্থা যখন বাকর শাহকে নিবিড় নজরদারি করছিল, তখন দেখেছে, তিনি ব্যাংককে পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন এবং তার রেস্তোরাঁটি পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের একটি সভা পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাকর শাহের মূল কাজ স্থানীয় পুলিশ, অভিবাসন, শুল্ক এবং বিমান সংস্থাগুলিতে পাকিস্তানিদের সম্ভাব্য সম্পদ চিহ্নিত করা এবং চিয়াং মাই ও মেই সোট অঞ্চলে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তোলা ছিল।
সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, একাধিক পাসপোর্টে গ্রেফতার সেই ব্যক্তি ফরাসি ব্যাংকে বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট এবং ক্রেডিট কার্ড নিতে সক্ষম। এছাড়া এসব তথ্যে এটা সবার কাছে স্পষ্ট যে, ‘জিহাদি প্রবণতা’র কয়েকটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে আইএসআইয়ের যোগাযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২০
টিএ