ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে হবে শ্রীনগরে সিল্ক কারখানার উন্নয়ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২০
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে হবে শ্রীনগরে সিল্ক কারখানার উন্নয়ন আধুনিক করা হচ্ছে শ্রীনগরের সিল্ক কারাখানা। ছবি: সংগৃহীত

সিল্কের পোশাকের উৎপাদন বাড়াতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নানা সুবিধা ও আধুনিক সরঞ্জাম স্থাপনের মাধ্যমে শ্রীনগরের সিল্ক কারখানাগুলোর উন্নয়নের দিকে নজর দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ২০১৪ সালে এ কারখানাগুলো বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

জিনিউজের খবরে বলা হয়, সরকারের লক্ষ্য উপত্যকায় আরও বেশি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা। অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং উন্নত প্রযুক্তির মেশিন ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়াতে সক্ষম হবে কারখানাগুলো। আর এ উন্নয়ন করা হবে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে।

একটি কারখানায় ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করছেন জমির উল্লাহ। তিনি বলেন, কারখানার উন্নয়নের সুফল পাবেন স্থানীয়রা। একইসঙ্গে উপত্যকায় কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে এ পদক্ষেপ। নতুন মেশিন আমাদের আরও বেশি উৎপাদনে সহায়তার পাশাপাশি মার্কেটে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।

তিনি আরও বলেন, অধিকাংশ কারখানার ভবন এবং ৫০ শতাংশের কাছাকাছি মেশিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০১৪ সালের বন্যায়। যার কারণে আমাদের কর্মীরা কাজ হারিয়ে বাড়িতে বসে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। আমরা বিশ্বব্যাংককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি অর্থায়ন করার জন্য। যা আমাদের সিল্কের উৎপাদন বাড়াতে সহযোগিতা করবে। এ ইন্ডাস্ট্রির ওপর নির্ভর করে প্রায় ২৩ হাজার পরিবারের জীবিকা।

শ্রনীগরের এ সিল্ক কারখানাগুলো বহু পরিবারের জীবন ধারণের মাধ্যম। তারা বাড়িতে কাজ করে সিল্কের কাঁচামাল তৈরি করে এবং কারখানায় বিক্রি করে।

মেহমুদা জান নামের এক কর্মী বলেন, আমরা খুবই খুশি এ প্রজেক্টের জন্য। আমাদের আর পুরোনো মেশিনে কাজ করতে হবে না। নতুন মেশিন আমাদের কাজ আরও সহজ করবে এবং এর মাধ্যমে আমরা লাভবান হবো।

একই কারখানার বশির আহমাদ নামের অপর এক কর্মী বলেন, নতুন অবকাঠামো নির্মাণ এবং কারখানায় নতুন মেশিন স্থাপনের মাধ্যমে আমরা নানাবিধ সুবিধা পাবো। যা আমাদের উৎপাদন বাড়াবে। এখন পর্যন্ত আমরা মেরামত করা মেশিনে কাজ করছি। আশা করছি, নতুন মেশিন আমাদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।

শ্রীনগরে সিল্ক কারখানাগুলোর উন্নয়নে নেওয়া হয়েছে সাড়ে ১২ কোটি টাকার একটি প্রজেক্ট। প্রজেক্টটিতে ইকোনমিক রিকনস্ট্রাকশন এজেন্সি (ইআরএ)-এর মাধ্যমে অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২০
এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।