ঢাকা, বুধবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০২ জিলকদ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কাশ্মীরের প্রশাসন সীমান্ত এলাকার লোকেদের চাকরি দিচ্ছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:০৭, অক্টোবর ৬, ২০২০
কাশ্মীরের প্রশাসন সীমান্ত এলাকার লোকেদের চাকরি দিচ্ছে কাশ্মীরের পাঞ্জগ্রাইন ব্লকের বসতি, ছবি: সংগৃহীত

করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যেও ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে কর্মসংস্থান নিয়ে ভাবছে পল্লী উন্নয়ন অধিদপ্তর (ডিআরডি)। এরইমধ্যে অঞ্চলটির রাজৌর জেলার প্রাঞ্জগ্রাইন ব্লকের লোকদের চাকরি দিচ্ছে ডিআরডি।

পাঞ্জগ্রাইন ব্লকে ১১টি পঞ্চায়েত রয়েছে। যার মধ্যে আটটি ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে।

চাকরিগুলো মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট (এমজিএনআরইজিএ) প্রকল্পের আওতায় দেওয়া হচ্ছে। আবার এর দৈনিক মজুরিতে শ্রমিকদের বেশ উপকার হচ্ছে। কারণ ভাইরাসের কারণে তাদের কর্মসংস্থান পেতে সমস্যা হচ্ছিল।

ওই এলাকার ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসের (বিডিও) নওরীন চৌধুরী বলেছেন, চাকরির অন্যান্য বিকল্পের অভাবে স্থানীয়রা যাতে নিজেদের বজায় রাখতে পারে, সেজন্য তার বিভাগ কোভিড-১৯ মহামারির সময় আরও বেশি কাজ করার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, আমরা সীমান্ত অঞ্চলে প্রচুর কাজ করেছি। আমরা এই মহামারির সময়ে আরও বেশি কাজ করার চেষ্টা করছি। যাতে লোকেরা ঠিকমতো জীবিকা নির্বাহ করতে পারে এবং নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারে। একইসঙ্গে এলাকার উন্নয়নও আমাদের উদ্দেশ্য।

পঞ্চায়েত পরিদর্শক মুনীর হুসেনের মতে, এখানকার বেশিরভাগ মানুষ দরিদ্র এবং দৈনিক মজুরির শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তারা ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিসের কাজের কারণে ঠিকমতো জীবিকা নির্বাহ করছেন। এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পের অধীনে দেওয়া চাকরি প্রচুর লোককে কর্মসংস্থান দিচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, প্রাঞ্জগ্রাইনের সরপঞ্চ মোহাম্মদ হুসেনও পাকিস্তান সীমান্তে গোলাগুলি করার কারণে গ্রামবাসী যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল, সেদিকেও ইঙ্গিত করেছেন। যা এই অঞ্চলের উন্নয়নমূলক কাজে বাধা দেয়।

মোহাম্মদ হুসেন বলেন, এটি একটি সীমান্তবর্তী অঞ্চল। প্রায়শই আন্তঃসীমান্ত গোলাগুলির শিকার হয়। তবে পল্লী উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রকল্পগুলো স্থানীয়দের অনেক বেশি সহায়তা করছে এবং কর্মসংস্থান দিচ্ছে।

সমাজসেবক নাজিরও প্রশাসনের কাজের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ওই এলাকায় আমাদের পঞ্চায়েতগুলো কিছু ভালো কাজ করছে। আমরা চাকরি না পাওয়ারও কোনো ধরনের অভিযোগ শুনিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।