নতুন তিন কৃষি বিলের প্রতিবাদে উত্তাল দিল্লি। পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী কৃষকদের ঠেকাতে বর্বরোচিত আচরণের অভিযোগ উঠেছে।
কানাডিয়ান-পাঞ্জাবিদের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন ট্রুডো। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘ভারত থেকে কৃষক বিদ্রোহের যে খবর আসছে প্রথমেই তার উল্লেখ করতে হবে। পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা আমাদের বন্ধু ও তাদের পরিবার নিয়ে চিন্তিত। বাস্তবটা আমরা সবাই জানি। দাবি আদায়ে কৃষকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পাশে রয়েছে কানাডা। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পক্ষে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। এসময় আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ’
এ প্রথম বিদেশি কোনো রাষ্ট্রনেতাকে আন্দোলনকারী কৃষকদের পক্ষ নিয়ে সোচ্চার হতে দেখা গেল।
গত ছয়দিন ধরে উত্তাল দিল্লি সংলগ্ন এলাকা। মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) কৃষক বিদ্রোহের ইতি টানতে বিক্ষোভরত কৃষকদের আলোচনার টেবিলে আসার আহ্বান জানিয়েছে মোদী সরকার। এদিন দুপুর ৩টা নাগাদ বিজ্ঞান ভবনে কৃষক ও সরকারপক্ষের বৈঠক হওয়ার কথা। তবে এদিনের বৈঠকে কৃষকরা যোগ দেবেন কিনা, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।
অন্যদিকে, কৃষকদের বিক্ষোভ নিয়ে কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হারজিৎ সিং সজ্জন এক টুইটে বলেন, ‘ভারতে হিংসাত্মক কায়দায় যেভাবে কৃষক আন্দোলন দমানোর চেষ্টা চলছে তা অত্যন্ত বিরক্তিকর। আমার পরিচিত অনেক মানুষ সেখানে রয়েছে। আন্দোলনকারী কৃষকদের পরিবার সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত। স্বাস্থ্যকর গণতন্ত্রে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ গ্রহণযোগ্য। কর্তৃপক্ষের কাছে কৃষকদের মৌলিক আধিকার মেনে নেওয়ার দাবি জানাই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২০
এফএম