ফাইজার এবং সেরাম ইনস্টিটিউটের পর এবার জরুরি ভিত্তিতে টিকা ব্যবহারের ছাড়পত্র চেয়ে ড্রাগ কন্ট্রোলের (ডিসিজিআই) কাছে আবেদন জানিয়েছে ভারত বায়োটেক। সরকারি এক সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
সরকারি ওই সূত্র জানিয়েছে, সোমবার ড্রাগ কন্ট্রোলের কাছে আবেদন করেছে ভারত বায়োটেক। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর সঙ্গে যৌথভাবে টিকা তৈরি করেছে হায়দরাবাদের এই সংস্থাটি। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে কোভ্যাক্সিন। দেশের ১৮টি শহরের ২২ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই ট্রায়াল চালিয়েছে ভারত বায়োটেক।
গত ৪ ডিসেম্বর সর্বদলীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে তিনি আশা প্রকাশ করেছিলেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কোভিডের টিকা তৈরি হয়ে যাবে। ওই দিন সন্ধ্যাতেই জরুরি ভিত্তিতে টিকা ব্যবহারে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলের কাছে আবেদন করে ফাইজার। যদিও এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। কিন্তু ভারতের মাটিতে কোনো রকমের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ছাড়াই কীভাবে সরাসরি প্রয়োগের অনুমতি চাইছে ফাইজার, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
বিদেশি কোনো ওষুধ সংস্থা ডিসিজিআইয়ের অনুমতি পাওয়ার পরেই তাদের প্রতিষেধক ভারতের বাজারে ছাড়তে পারে। কিন্তু সেই ছাড়পত্রের আগে সেই বিদেশি প্রতিষেধকের অন্তত দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বাধ্যতামূলক বলেই মত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। সেই কারণেই কোনো বিদেশি প্রতিষেধক ভারতীয় স্বেচ্ছাসেবকদের উপরে ইতিবাচক না ক্ষতিকর, কী ধরনের প্রভাব ফেলেছে, তা পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফল খতিয়ে দেখেই তবেই তার ছাড়পত্র দিয়ে থাকে ডিসিজিআই।
অন্যদিকে, রোববারই তাদের তৈরি টিকা কোভিশিল্ড-এর জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের ব্যাপারে সরকারের কাছে আবেদন করেছে। ফাইজার, সেরাম এবং ভারত বায়োটেকের এই আবেদন খতিয়ে দেখতে পারে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত এক কমিটি। যদিও সরকারি ওই সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত কোনও আবেদনই ওই বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে পাঠানো হয়নি। কবে খতিয়ে দেখা হবে আবেদনগুলো সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট তারিখও নির্ধারিত হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২০
এসকে/এইচএডি/