মার্কিন সিনেট ভবন ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের ন্যক্কারজনক তাণ্ডব নিয়ে পুরো পৃথিবী সমালোচনায় মেতেছে। বিশ্ব নেতারা এই ঘটনাকে ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করছেন।
অন্যদিকে ট্রাম্পের সমর্থকদের এমন কর্মকাণ্ডে চীনারা মুচকি হাসি দিচ্ছেন। চীনের ইন্টারনেট জগতে ছড়িয়ে পড়েছে হাস্যরস। বিষয়টি নিয়ে ব্যঙ্গ করছেন চীনের হাজার হাজার নাগরিক।
এই বিক্ষোভকে ‘সুন্দর দৃশ্য’ বলে উল্লেখ করেছেন চীনের কলামিস্ট ইওথ লিগ। চীনা সামাজিক মাধ্যম ওয়েইবোতে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। এই দাঙ্গাকে গত বছরে হংকংয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সঙ্গে তুলনা করে বিশ্বনেতাদের দ্বিমুখী নীতির সমালোচনা করছেন চীনারা।
উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক দুই প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ও বারাক ওবামা।
জর্জ ডব্লিউ বুশ বলেছেন, এটি পুরোপুরি অসুস্থ ও হৃদয়বিদারক দৃশ্য। রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল কোনও দেশে এ ধরনের ঘটনার মাধ্যমে নির্বাচনের ফলকে বিতর্কিত করা হয়- আমাদের গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে এর কোনও স্থান নেই।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ইতিহাস সঠিকভাবেই ক্যাপিটলের ওপর এ হামলার ঘটনা মনে রাখবে; আর সেটি হচ্ছে–এ মুহূর্তটি চরম অসম্মান এবং এই জাতির জন্য লজ্জাজনক।
অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ ঘটনাকে 'লজ্জাজনক' বলে উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গে 'শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের' আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ওয়াশিংটন ডিসিতে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনায় আমি অত্যন্ত আহত। নিয়মমাফিক ও শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া যেন চলতে থাকে। একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে কখনওই বেআইনি আন্দোলনের দ্বারা বিপথে চালিত হতে দেওয়া যায় না।
এছাড়া ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, গণতন্ত্রের ওপর হামলার ঘটনায় কানাডিয়ানরা অত্যন্ত চিন্তিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২১
নিউজ ডেস্ক