ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চেলর (আইসিএমআর) সহযোগিতায় ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কোভাক্সিন’ করোনার জন্য কার্যকর এবং তা নিরাপদ বলে জানিয়েছে দেশটির সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও)।
সম্প্রতি এক ভিডিও কনফারেন্সে সংস্থাটির মুখপাত্র এস এসোয়ারা রেড্ডি এই তথ্য জানিয়েছেন।
ভিডিও বার্তায় রেড্ডি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লুএইচও) মতে যে কোনও ভ্যাকসিনের নূন্যতম কার্যকারিতা কমপক্ষে ৫০ শতাংশ হওয়া উচিত। তবেই সেটি ভ্যাকসিন হিসেবে চিহ্নিত এবং বিবেচিত হবে। সেদিক থেকে কোভাক্সিনের কার্যকারিতা ডাব্লুএইচও’র মান পূরণের দিকে ইঙ্গিত করে। আমরা আশ্বাস দিয়েছি যে ভ্যাকসিনটি নিরাপদ এবং কার্যকার।
এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ঠিক কতদিন স্থায়ী হবে তা পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি। তবে রেড্ডি যোগ করেছেন যে, সাধারণত আশা করা হচ্ছে ভ্যাকসিনগুলোে আজীবন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকবে।
ভিডিও বার্তায় জানানো হয়, ভারতে বছরে দুই বিলিয়ন ভ্যাকসিন ডোজ বিকাশের অবকাঠামো রয়েছে। এছাড়া এটি দেশীয় চাহিদা খুব ভালোভাবে পূরণ করতে পারে এবং অন্যান্য দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারবে। সরকার আগামী পাঁচ থেকে ছয় মাসে প্রায় ৩০ কোটি লোককে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে রয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারত বিশ্বের বৃহত্তম টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। প্রতি বছর দেশটিতে ৪০ কোটিরও বেশি নবজাতক ও প্রসূতি মায়েদের ১২টি রোগের টিকা দেওয়া হয়ে থাকে। আর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করোনার ভ্যাকসিন কর্মসূচিতে ভারতের দুই লাখ ২৩ হাজার নার্স ও এক লাখ ৫৪ হাজার ধাত্রীকে নিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও, শেষ বর্ষে অধ্যয়নরত নার্সিং শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার আহ্বান জানানো হবে।
তথ্যসূত্র: নিউজ 18 ইন্ডিয়া
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২১
এইচএমএস/