মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লকে অপহরণ ও হত্যায় মূল অভিযুক্ত পাকিস্তানের ওমর সাঈদ শেখকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে সিন্ধ হাইকোর্টও এই রায়ই দিয়েছিল।
এদিন সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হয় তিন বিচারপতির এক বেঞ্চে। বেঞ্চের এক সদস্য ওমর সাঈদের মুক্তির বিরোধিতা করলেও শেষ পর্যন্ত বেঞ্চের তরফে হাইকোর্টের রায়ই অব্যাহত রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে কান্দাহারে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ও বিমানে থাকা যাত্রীরা অপহৃত হওয়ার পর মুক্তিপণের দাবিতে যে জঙ্গিদের ছাড়া হয়েছিল তাদের অন্যতম ছিল ওমর শেখ।
২০০২ সালে পাকিস্তানে এসেছিলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল। আইএসআই ও আল কায়দার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে তদন্ত করছিলেন তিনি। এরপরই তাকে অপহরণ করে ওমর। তার মাথা কেটে তাকে নৃশংসভাবে খুন করে সে।
এর আগে, ১৯৯৪ সালে চারজন বিদেশি পর্যটককে অপহরণ করে ওমর। তখন সে কাশ্মীরে ছিল। বিচারে সাজা হয় তার। গাজিয়াবাদসহ দেশের বিভিন্ন জেলে থাকতে হয়েছে তাকে। পরে ১৯৯৯ সালে কান্দাহার বিমান অপহরণের সময় তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় নয়াদিল্লি।
ওমর শেখকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরে তার প্রাণ ভিক্ষার আরজি মেনে সাজা কমিয়ে সাত বছর করা হয়। ২০২০ সালের ২ এপ্রিল পাক আদালতে শুরু হয়েছিল ওই জঙ্গিদের আপিলের শুনানি। তখনই আদালত ওমরের মৃত্যুদণ্ড রদ করে দেয়। সেই সঙ্গে ২০ লাখ পাকিস্তানি টাকা জরিমানা করা হয় তাকে। যেহেতু এত দীর্ঘ সময় সে কারাবাস করেছে, তাই তার সাত বছরের সাজা এরই মধ্যে পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তাই তাকে ছেড়ে দেওয়ার রায় দিয়েছিল সিন্ধের আদালত। সেই রায়ই বহাল রেখে দিল পাক সুপ্রিম কোর্ট।
সূত্র: আল-জাজিরা