মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক মনোভাবকে আইনে আবদ্ধ না করার জন্য ফ্রান্সের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ঘৃণা এবং সংঘাতের আকারে গুরুতর প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে।
মঙ্গলবার ফরাসি সংসদের নিম্নকক্ষে পাস হওয়া একটি বিলের প্রেক্ষাপটে তিনি এ আহ্বান জানান।
বলা হচ্ছে, বিলটি আইনে পরিনত হলে মুসলমানদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ সৃষ্টি হবে এবং মসজিদগুলোর ওপর জোরদার নজরদারি চলবে।
আলভি ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সংখ্যালঘু অধিকার নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বলেন, আপনাদের (ফ্রান্স) মানুষকে একত্রিত করতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট উপায়ে ধর্মের উর্ধ্বে থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী পীর নূরুল হক কাদরি, সংসদীয় সচিব শুনিলা রুথ এবং পাকিস্তানে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত আন্দ্রুল্লা কামিনারা।
মার্কিন গণতান্ত্রিক কেন্দ্রীয় রাজ্য কমিটির সদস্য আয়েশা খান এবং সংখ্যালঘু অধিকার ফোরামের (আইএমআরএফ) চেয়ারম্যান স্যামুয়েল পেয়ারাও এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আলভি বলেন, ফরাসি আইন জাতিসংঘের সনদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং ইউরোপীয় সমাজের সম্প্রীতির চেতনাবিরোধী।
তিনি বলেন, যে সব পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য কোনো পশ্চাদমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত নয়। সমগ্র ধর্মকে ভিন্নভাবে চিহ্নিত করা এবং সমগ্র সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সতর্কতা অবলম্বন করা ভয়কে উস্কে দেয়।
তিনি ব্লাসফেমি আইন না করার জন্য পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানান।
আলভি বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপাসনাস্থল রক্ষার জন্য সংখ্যালঘু অধিকার কমিশনের পুনর্গঠন সরকারের একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। পাকিস্তান এক নতুন যুগে প্রবেশ করছে। আমরা বুঝতে পারছি যে নিজেদের জনগণের মধ্যে বিভাজন নিয়ে বাঁচা যায় না।
ধর্মীয় বিষয়ক মন্ত্রী পীর নূরুল হক কাদরি বলেন, কায়েদ-ই-আজম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর স্বপ্নের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
নিউজ ডেস্ক