এ বছরের মে মাসের শেষ দিকে ইরানের চাবাহার বন্দরের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু করার আশা প্রকাশ করেছে ভারত।
ভারতের জাহাজ মন্ত্রী বলেছেন, আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়াতেই এ বন্ধরের সঙ্গে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
ওমান উপসাগর বরাবর ইরানের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে চাবাহার বন্দরের একটি অংশ উন্নয়ন করছে ভারত। পাকিস্তানকে এড়িয়ে আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে পণ্য পরিবহনের জন্যই ভারতের এ উদ্যোগ।
কিন্তু ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বন্দরের উন্নয়নকে মন্থর করে দিয়েছে। তাই ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে।
ভারতের বন্দর ও নৌপরিবহন মন্ত্রী মনসুখ মান্দাভিয়া রয়টার্সকে বলেন, তিনি এপ্রিল বা মে মাসে ইরান সফর করতে পারেন।
ভারত চাবাহার বন্দরে দুটি টার্মিনালের উন্নয়ন কাজ করছে। ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি অনুযায়ী তারা ১০ বছর ওই দুই টার্মিনাল পরিচালনা করবে।
মান্দাভিয়া জানান, বন্দরটি ইতোমধ্যে সীমিত পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করেছে। ফেব্রুয়ারি ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ১২৩টি জাহাজ এবং ১.৮ মিলিয়ন টন বাল্ক এবং সাধারণ জাহাজ পরিচালনা করেছে।
তিনি বলেন, এটা আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি। একবার এটি পুরোপুরি চালু হলে অপারেশন এবং মাল পরিহনের অবস্থা কী হবে কল্পনা করুন।
গত বছর মহামারির মধ্যে ভারত চাবাহার বন্দর ব্যবহার করে আফগানিস্তানে ৭৫,০০০ টন গম এবং ইরানকে ২৫ টন কীটনাশক পাঠায়।
অন্যদিকে আফগানিস্তানে পণ্য সরবরাহের সুবিধার্থে ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে ইরানের প্রাদেশিক রাজধানী জাশেদান পর্যন্ত প্রায় ৬০০ কিলোমিটার রেলপথ স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে ভারত।
বৃহস্পতিবার চাবাহার বন্দর নিয়ে একটি ভার্চ্যুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নয়াদিল্লি মস্কোর সাথে সংযোগকারী আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহন করিডোরে (ইনএসটিসি) চাবাহার বন্দরকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেছে। সূত্র: রয়টার্স
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২১
নিউজ ডেস্ক