চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) বিষয়ক সিনেটের বিশেষ কমিটি পাক সংসদের উচ্চকক্ষকে জানিয়েছে, সিপিইসির মতো প্রকল্পের সমন্বয় ও পরিচালনার ক্ষমতা নেই পরিকল্পনা, উন্নয়ন এবং বিশেষ উদ্যোগ মন্ত্রণালয়ের।
কমিটি একটি প্রতিবেদনে বলেছে, একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে মন্ত্রণালয়ের দূরদৃষ্টি এবং সমালোচনামূলক চিন্তার অভাব রয়েছে।
কমিটির আহ্বায়ক সিনেটর শেরি রেহমান চেয়ারম্যান ও ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে সংসদের সামনে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে বলেন, সিপিইসির মতো বিশাল প্রকল্পের সমন্বয় ও পরিচালনা করার ক্ষমতা মন্ত্রণালয়ের নেই।
৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি প্রকল্প সিপিইসি আঞ্চলিক যোগাযোগের একটি কাঠামো এবং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে পাকিস্তান এবং এই অঞ্চলে সড়ক, রেল ও বিমান পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে ভৌগলিক সংযোগ বৃদ্ধি করা।
প্রতিবেদনের সাথে সংযুক্ত বার্তায় আহ্বায়ক বলেন, শুরু থেকেই কমিটি পর্যবেক্ষণ করেছে যে মন্ত্রণালয় এমন সব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে যা অবিলম্বে সমাধান করা প্রয়োজন।
রেহমান হাউসকে জানান, বিভাগগুলো একে অপরের দায়িত্ব স্থানান্তর করছে এবং তাদের প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতার অভাব রয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং তার বিভিন্ন মিত্র বিভাগের কর্মক্ষমতা এবং অগ্রগতি পর্যালোচনা করার পর কমিটি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে তারা একটি সুস্পষ্ট কৌশল প্রণয়ন করতে অক্ষম এবং স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে তাদের প্রচেষ্টার সমন্বয় সাধন করতে অক্ষম।
যেহেতু সিপিইসি বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এর একটি প্রধান উদ্যোগ এবং এটি পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বাড়াবে। তাই কমিটি পরামর্শ দিয়েছে, প্রদেশগুলোকে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার ব্যাপারে আস্থা রাখা উচিত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা, উন্নয়ন এবং সংস্কার মন্ত্রী সিপিইসির প্রকল্প এবং তার ক্রমাগত বিদেশ সফর নিয়ে ব্যস্ততা দেখিয়ে সভা এড়িয়ে চলতেন।
২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সভায় প্রতিবেদনে বলা হয়, কমিটি তৎকালীন পরিকল্পনা মন্ত্রী মাখদুম খুসরো বখতিয়ারের অনুপস্থিতির বিষয়টি গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করে এবং সিনেট সচিবালয়কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে একটি লিখিত বিজ্ঞপ্তি জারি করার নির্দেশ দেয়।
কমিটির সদস্যদের মতামত না শুনে সভা ছেড়ে চলে যাওয়ায় মন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করে কমিটি। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সভায় যেসব কাগজপত্র সরবরাহ করা হতো, সেগুলো ছিল অসম্পূর্ণ।
কমিটি আরো পর্যবেক্ষণ করেছে, বেলুচিস্তানের বোস্তানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল কোন পিএসডিপি তহবিল পায়নি এবং তাই কোন অগ্রগতি অর্জন করা যায়নি।
কমিটির সদস্যরা বলেছেন, গত কয়েক বছরে কোনো সুস্পষ্ট অগ্রগতি নেই। সুপারিশ সত্ত্বেও বেলুচিস্তানের বোস্টন এলাকায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং স্পেশাল ইকোনমিক জোন (এসইজেড) হিসেবে এর উন্নয়নের বিষয়টি একটি প্রতারণা বলে মনে হচ্ছে। সূত্র: দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২১
নিউজ ডেস্ক