মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আফগানিস্তানের স্থিতিশীল ভবিষ্যতে ভারত, পাকিস্তান, রাশিয়া, চীন ও তুরস্কের উল্লেখযোগ্য অংশীদারিত্ব রয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য এই দেশগুলোর আরও কিছু করা উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বুধবার হোয়াইট হাউস থেকে জাতীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে বাইডেন এ কথা বলেন।
আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহার করার ঘোষণাও দেন তিনি। ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের ১০০ দিন পূর্ণ হওয়ার আগেই তিনি এ ঘোষণা দিলেন।
আফগানিস্তানে বর্তমানে আড়াই হাজারের কিছু বেশি সৈন্য রয়েছে। বারাক ওবামা প্রশাসনের সময় দেশটিতে এক লাখের বেশি সেনা ছিল।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন পাসাকি সাংবাদিকদের বলেছেন, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির কোনো সামরিক সমাধান নেই, বরং কূটনৈতিক সমাধান প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমরা সৈন্য প্রত্যাহার করলেও কূটনৈতিক এবং মানবিক কাজ সমর্থন অব্যাহত রাখব। একইসঙ্গে আমরা এ অঞ্চলের পাকিস্তান, রাশিয়া, চীন, ভারত ও তুরস্ককে শান্তির জন্য ভূমিকা রাখতে বলব।
বাইডেন বলেন, আফগানিস্তানের যুদ্ধ কখনই বহু প্রজন্মের অঙ্গীকার ছিল না। আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। আমরা স্পষ্ট লক্ষ্য নিয়ে যুদ্ধে গিয়েছিলাম। আমরা সেই উদ্দেশ্যগুলি অর্জন করেছি। বিন লাদেন মারা গেছেন এবং ইরাক ও আফগানিস্তানে আল কায়েদার অস্তিত্ব শেষের পথে। এখন এই চিরকালের যুদ্ধ শেষ করার সময় এসেছে।
স্বাধীন কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিসের আফগানিস্তান সম্পর্কিত সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগান পুনর্গঠনে ভারত সবচেয়ে বড় আঞ্চলিক অবদানকারী। কিন্তু নয়াদিল্লি কাবুলের সাথে গভীর প্রতিরক্ষা সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেনি।
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে স্থায়ী শান্তি স্থাপন এবং সৈন্য ফিরিয়ে নিতে গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি তালেবানদের সঙ্গে এক যুগান্তকারী চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র।
দোহায় স্বাক্ষরিত মার্কিন-তালেবান চুক্তির আওতায় আমেরিকা ১৪ মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে তাদের সব সৈন্য প্রত্যাহার করতে সম্মত হয়।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর তালেবানদের উৎখাত করতে ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২১
নিউজ ডেস্ক