মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখল করার পর সম্প্রতি দেশটিতে স্যাটেলাইট টিভি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে ‘ফেক নিউজ’ ছড়ানোর দায়ে দেশটিতে জাপানি এক সংবাদিককে করা হয়েছে অভিযুক্ত।
বুধবার (০৫ মে) এসব তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, স্যাটেলাইট টিভি চ্যালেনগুলো মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করছে বলে সরকার এ সিদ্ধান্ত নেয়।
নির্দেশ অমান্য করা হলে রাখা হয়েছে শাস্তির বিধান।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআরটিভি জানায়, মিয়ানমারে স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যালেন আর বৈধ নয়। যারা টেলিভিশন ও ভিডিও আইন ভঙ্গ করবে তাদের ৫ লাখ কিয়েত (৩২০ মার্কিন ডলার) জরিমানা ও ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
আরও বলা হয়, অবৈধ সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রচারিত প্রতিবেদন মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা ও জাতীয় নিরাপত্তা ধ্বংস করছে। একইসঙ্গে এসব প্রতিবেদন বিদ্রোহীদের উৎসাহিত করছে।
ইতোমধ্যে দেশটিতে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্বাধীন গণমাধ্যম এবং গ্রেফতার করা হয়েছে সাংবাদিকদের। অন্তত ৫০ জনের মতো সাংবাদিককে কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
এরমধ্যে জাপানি সাংবাদিক ইউকি কিতাজুমিকে সোমবার (০৩ মে) ‘ফেক নিউজ’ ছড়ানোর দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যাকে দ্বিতীয়বারের মতো গতমাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকে কিতাজুমিই প্রথম বিদেশি সাংবাদিক যাকে অভিযুক্ত করা হলো।
মিয়ানমারের অন্যতম দাতা দেশ জাপান ইতোমধ্যে কিতাজুমিকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার সেনাবাহিনী প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বে জেনারেলরা দেশটির রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে নেয়। পরে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে দেশটির সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ শুরু করে। এসব বিক্ষোভে গুলি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর গুলিতে ৭৬০ জন নিহত হয়েছেন মিয়ানমারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২১
এইচএডি/