চীন তার ‘ধূসর অঞ্চলে’ কৌশল বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাইওয়ান ঘোষণা করেছে, তারা সীমান্তের কাছে চীনা সামরিক কার্যক্রম মোকাবিলায় সামরিক বিমান এবং জাহাজ মোতায়েন করবে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ কুও-চেং বলেছেন, বেইজিং যুদ্ধ সরঞ্জাম প্রদর্শন করে যা বোঝানোর চেষ্টা করছে, সে বিষয়ে তাইওয়ানের পাল্টা ব্যবস্থা রয়েছে।
লিবার্টি টাইমস জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ভবিষ্যতে নজরদারি এবং পাল্টা অনুসন্ধান মিশনের ওপর প্রভাব বিবেচনা করে এই আকস্মিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের সামরিক বাহিনী যে কোনো হুমকি মোকাবেলা করতে সক্ষম।
গত বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে বেইজিং তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনে (এডিআইজেড) নিয়মিত বিমান পাঠিয়ে তার ধূসর অঞ্চলের (গ্রে জোন) কৌশল বাড়িয়েছে, বেশিরভাগ ঘটনা জোনের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে ঘটে।
গত কয়েক মাস ধরে তাইওয়ান প্রায় প্রতিদিন চীনা যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশের দাবি করে আসছে।
এদিকে চীন বলেছে, তাইওয়ান প্রণালীতে তাদের সামরিক কার্যক্রম তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের লক্ষ্য করে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উ কিয়ানকে উদ্ধৃত করে বলেছে, আমরা তাইওয়ানের স্বাধীনতা চাওয়া বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মোকাবিলায় পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি।
বেইজিং তাইওয়ানের ওপর পূর্ণ সার্বভৌমত্ব দাবি করে, যদিও সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে তাইওয়ান নিজের মতো করেই চলছে।
অন্যদিকে, তাইপেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বাড়িয়ে চীনা আগ্রাসনের মোকাবিলা করছে। বিষয়টি একেবারেই সহ্য করতে পারছে না চীন। এ কারণে তারা বলছে, তাইওয়ানের স্বাধীনতা চাওয়া মানে যুদ্ধ ঘোষণার সামিল।
চীন সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগরে একটি বড় উভচর জাহাজসহ তিনটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে। সূত্র: এএনআই
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২১
নিউজ ডেস্ক