চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলে উইগুর মুসলমানদের সঙ্গে দেশটির আচরণের বিষয়ে সমালোচনা করছে না অনেক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড পলিটিক্সি রিভিউয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থেকেই অনেক মুসলিম দেশ নীরব।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সরকার এখন পর্যন্ত জিনজিয়াংয়ে চীনের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করা থেকে অনেকাংশে বিরত রয়েছে। কেন? যুক্তিসঙ্গত আশঙ্কা রয়েছে যে বেইজিংয়ের সাথে তাদের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যদি তারা উইগুরদের দমনের নিন্দা করে। চীনের সাথে প্রায় সব মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশেরই দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে, যা গত কয়েক দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে গভীর হয়েছে।
উইগুর মুসলমানরা মধ্য ও পূর্ব এশিয়ার সাধারণ অঞ্চলের সাথে সাংস্কৃতিকভাবে সম্পৃক্ত একটি তুর্কি সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী। তারা গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের জিনজিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের স্থানীয় হিসাবে স্বীকৃত।
জোরালো অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরে এই সংখ্যালঘু উইগুরদের ওপর অত্যাচার নিপীড়ন চালিয়ে আসছে চীন। অনেক দেশ এটাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। লাখ লাখ উইগুরকে শিবিরে বন্দি করে তাদের ধর্ম সংস্কৃতিসহ জীবনাচরণ বদলে দেওয়া হচ্ছে। জনসংখ্যা যাতে না বাড়ে সেজন্য নারীদের বন্ধ্যা করে দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু চীন বরাবরই সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ বেশ কয়েকটি দেশ উইগুরদের মানবাধিকার লঙ্গন নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে সরব।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২১
নিউজ ডেস্ক