গত তিন বছরে শত শত চীনা নৌকা আর্জেন্টিনার জলসীমার কাছে অবৈধভাবে মাছ শিকার করেছে। কৌশলে গতিবিধি লুকিয়ে তারা কাজটি করেছে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, নিরাপত্তা ও ট্রাফিক পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহৃত একটি সামুদ্রিক ট্র্যাকিং সিস্টেমের ওশেনা গ্রুপের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আর্জেন্টিনার কাছে মাছ ধরা বিদেশি জাহাজের অর্ধেকেরও বেশি তাদের ট্র্যাকিং বন্ধ করে দিয়েছে, তাদের কার্যক্রম লুকিয়ে রেখেছে। এর মধ্যে ৬৬ শতাংশ ঘটনার জন্য চীনা নৌবহর দায়ী।
বুধবার প্রকাশিত ওশেনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৮০০টি জাহাজ, যার অর্ধেকেরও বেশি চীন থেকে এসেছে, জানুয়ারি ২০১৮ থেকে এপ্রিল ২০২১ এর মধ্যে আর্জেন্টিনার জলসীমার ২০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় শনাক্তকরণ সিস্টেমের (এআইএস) মাধ্যমে প্রায় ৯ লাখ ঘণ্টা মাছ ধরেছে।
ওশেনায় মার্কিন প্রচারণার উপ-ভাইস-প্রেসিডেন্ট বেথ লোয়েল বলেন, মাছ ধরার সময় আপনি মহাসাগরে যেখানে আছেন সেখানে আপনার লুকিয়ে থাকা উচিত নয়। তারা যদি আইনগত কিছু করে থাকে তবে তারা কেন এটি বন্ধ করে দিয়েছে? তাদের এআইএস চালু রাখা উচিত যাতে বিশ্ব দেখতে পারে কী ঘটছে।
এসসিএমপি জানিয়েছে, চীনা জাহাজগুলো আর্জেন্টিনা এবং ইকুয়েডরের মতো দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর পানির চারপাশে একত্রিত হচ্ছে। চীনের বিশাল নৌবহর এবং অবৈধ মাছ ধরার ঘটনা সমালোচনার মুখে পড়েছে।
ওশেনা বিশ্লেষকরা দেখেছেন, আর্জেন্টিনার কাছে মাছ ধরা চীনা জাহাজের মধ্যে ১৭৩টি তাদের এআইএস বন্ধ হওয়ার এক মাসের মধ্যে ট্রান্সশিপমেন্ট ছিল।
এনজিও গ্লোবাল ফিশিং ওয়াচের তথ্য বিশ্লেষণ করে ওশেনা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আর্জেন্টিনার জলসীমায় প্রায় ৭০ শতাংশ দৃশ্যমান মাছ ধরার জন্য ৪৩০টিরও বেশি চীনা পতাকাযুক্ত জাহাজ দায়ী।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২১
নিউজ ডেস্ক