শিশু সৈন্য প্রতিরোধ আইনের (সিপিএসপিএ) অধীনে করা তালিকায় পাকিস্তান ও তুরস্কের নাম যুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে সামরিক সহায়তার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা এবং শান্তিরক্ষা কর্মসূচিতে দেশ দুটির অংশগ্রহণের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
যেসব দেশের সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী এবং সরকার সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীতে শিশুদের নিয়োগ দেওয়া হয়, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবার সে দেশগুলোর তালিকা করে।
এবারের বার্ষিক প্রতিবেদনে ১৫টি দেশের নাম আছে। দেশগুলো হলো, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, ইরান, ইরাক, লিবিয়া, মালি, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া, তুরস্ক, ভেনেজুয়েলা এবং ইয়েমেন।
দেশগুলোর মধ্যে কঙ্গো, সোমালিয়া এবং ইয়েমেন গত দশ বছর ধরে এই তালিকায় আছে। এছাড়া আফগানিস্তান, ইরান, ইরাক, লিবিয়া, মালি, মিয়ানমার, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ সুদান এবং সিরিয়া একাধিকবার এই তালিকায় উঠে এসেছে।
২০১০ সালে প্রথম তালিকায় ছয়টি দেশকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এবারের তালিকায় নতুন সংযোজন পাকিস্তান ও তুরস্ক।
ওয়াশিংটনে স্টেট ডিপার্টমেন্টের জারি করা বিবৃতিতে শিশু সৈনিকের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ১৮ বছরের কম বয়সী যে কোনো ব্যক্তি যিনি সরকারি সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ বা অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য হিসেবে শত্রুতায় সরাসরি অংশ নেন।
সরকারি সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ বা অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীতে বাধ্যতামূলকভাবে নিয়োগ প্রাপ্তদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেমন, ১৫ বছরের কম বয়সীদের স্বেচ্ছায় সরকারি সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ বা অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীতে নিয়োগ করা হয়েছে।
এছাড়া এসব বাহিনীর যে কোনো কাজে নিয়োজিত ১৮ বছরের কম বয়সীরা শিশু সৈনিক হিসেবে চিহ্নিত।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২১
নিউজ ডেস্ক