ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিরুদ্ধে জিনজিয়াং প্রদেশ সফরের ‘অগ্রহণযোগ্য’ পূর্বশর্ত আরোপের অভিযোগ করেছে চীন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিযুক্ত চীনা মিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, বেইজিং ইইউ এবং চীনে নিযুক্ত তার সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কূটনীতিকদেরও অনেকবার জিনজিয়াং সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তবে ইইউয়ের পক্ষ থেকে নির্ধারিত পূর্বশর্তের কারণে এই সফর বাস্তবায়িত হয়নি, যা কোনো সার্বভৌম রাষ্ট্রের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
মিশনটি আরও সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যে কোনও হস্তক্ষেপ একটি শক্তিশালী এবং দৃঢ় প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে মোকাবিলা করা হবে।
ইইউয়ের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি সংস্থা ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিস (ইইএএস) বলেছে, আমরা জিনজিয়াংয়ের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছি। ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো তাদের সরবরাহ শৃঙ্খলে জোরপূর্বক শ্রম ঝুঁকি শনাক্ত এবং সমাধান নিশ্চিত করার জন্য নতুন যথাযথ বিধি প্রবর্তন করবে।
চীনা মিশন ইইএএস-এর মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এই বিবৃতিতে তথ্যের বিকৃতি ঘটানো হয়েছে এবং বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে।
জিনজিয়াং কমিউনিস্ট চীনের একটি প্রদেশ যেখানে ২০১৬ সাল থেকে আনুমানিক ২০ লাখ উইগুর এবং অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের আটক করা হয়েছে। তাদের শিক্ষার নামে ধর্মীয় মূল্যবোদ ভুলিয়ে দিতে জিনজিয়াং জুড়ে ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে বলে জোরালো অভিযোগ আছে। যদিও চীন বরাবরই সে অভিযোগ অস্বীকার করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২১
নিউজ ডেস্ক