ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভারতীয় পরিচয় পেয়েই দানিশের মরদেহ তালেবানরা বিকৃত করে দেয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২১
ভারতীয় পরিচয় পেয়েই দানিশের মরদেহ তালেবানরা বিকৃত করে দেয় দানিশ সিদ্দিকী

ভারতীয় পরিচয় পেয়েই ফটো সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকীর মরদেহের ওপরও তালেবানরা নির্যাতন চালিয়েছেন ৷

নিহত দানিশ ভারতীয় জানতে পেরেই তাঁর দেহটি বিকৃত করে দেওয়া হয়৷ কথাগুলো যিনি বলছিলেন, আফগান সেনাবাহিনীর সেই কমান্ডার বিলাল আহমেদ। নিহত ভারতীয় ফটো সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকির শেষ মুহূর্তের সাক্ষী তিনি।

বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইনের খবরে বলা হয়, আফগানিস্তানের কন্দহরের স্পিন বোল্দাকে সেনা এবং তালেবানের গুলিযুদ্ধের মধ্যে পড়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রাণ হারিয়েছেন সংবাদ সংস্থা রয়টার্সে কর্মরত পুলিৎজ়ার জয়ী দানিশ।  

সে সময়ে আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীর বিশেষ শাখা ‘আফগান স্পেশাল ফোর্সেস’র সঙ্গে ঘুরছিলেন তিনি। সেই বাহিনীর কমান্ডার বিলাল। গত পাঁচ বছর আফগান সেনাবাহিনীতে রয়েছেন বিলাল।  

তাঁর দাবি, তালেবান যতই অস্বীকার করুক, তাদের গুলিতেই প্রাণ হারিয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী ফটো সাংবাদিক এবং পুরো ঘটনাটি তাঁর চোখের সামনেই হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিলাল।

একাধিক গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলো দানিশের শরীর। তার জেরেই মৃত্যু-কাবুলে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের দেওয়া দানিশের মৃত্যুর শংসাপত্রে লেখা এমনটাই। তবে, শুধু গুলি করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি তালেবান। অনেকেরই সন্দেহ, দানিশের দেহটি যেভাবে ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়, তা থেকে এটা অন্তত স্পষ্ট যে পরে আরও অত্যাচার চালানো হয়েছে দেহটির ওপর। ‘প্রত্যক্ষদর্শী’ বিলালের দাবিও তেমনই।

বিলালের বয়ান, পাকিস্তান সীমান্তবর্তী ওই অঞ্চলে তালেবানের ছোড়া গুলিতে কিছুক্ষণের ব্যবধানে প্রাণ হারান এক আফগান কমান্ডার এবং দানিশ। তালিবান কমান্ডারেরা দানিশের পরিচয় জানার সঙ্গে সঙ্গেই তেতে ওঠেন।  

তাঁর কথায়, পরিচয়পত্র থেকে দানিশ ভারতীয় জানতে পেরেই তাঁর দেহটি বিকৃত করে দেওয়ার নির্দেশ আসে। সেই মতে দানিশের মাথার ওপর দিয়ে চালিয়ে দেওয়া হয় একটি গাড়ি! তার আগেই অবশ্য মৃত্যু হয়েছিল তাঁর।  

ভারত এবং ভারতীয়দের প্রতি ‘বিশেষ ঘৃণা’ থেকেই এই কাজ করা হয়েছে বলে জোর গলায় দাবি করছেন বিলাল।

তবে, বিলাল যাই বলুন না কেন, দেহ বিকৃত করা তো দূরের কথা, দানিশের মৃত্যুর জন্য যে তারা দায়ী সে কথাই স্বীকার করেনি তালেবান। গত বৃহস্পতিবার থেকেই এই দাবিতে অনড় তালেবান।

সম্প্রতি ফের সেই সুরেই তালেবানের মুখপাত্র মৌলানা ইউসুফ আহমাদি এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে ফোনে জানিয়েছেন, আমরা ওকে (দানিশ) মারিনি। তিনি শত্রুপক্ষের বাহিনীর সঙ্গে ছিলেন। কোনও সাংবাদিক যদি এখানে এসে থাকেন, তাঁর উচিত আমাদের সঙ্গে কথা বলা। আমরা নিয়মিত সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। শুক্রবার দুপুরে রেডক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির হাতে দানিশের ক্ষত-বিক্ষত দেহটি তুলে দিয়েছিল তালেবানই।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২১
এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।