ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে রাশিয়া। পশ্চিমা দেশগুলো এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রাশিয়ার স্থানীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় বলে অভিযোগ খোদ দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের।
চলতি মাসের শুরুর দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন পাস করে রাশিয়া। এই আইনের আওতায়, দেশটিতে কমপক্ষে পাঁচ লাখ সদস্য আছে এমন প্ল্যাটফর্মকে নির্দিষ্ট কিছু বিধিবিধান মানতে হবে।
এসব বিধানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, রাশিয়ায় সেই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সরাসরি অফিস বা শাখা অফিস খুলতে হবে। দেশটির নিজস্ব আইন অনুযায়ী, সেই অফিসের নিতে হবে অনুমোদন। বিজ্ঞাপন থেকে আয় করা অর্থের একটি অংশ কর আকারেও প্রদান করতে হবে রুশ সরকারকে।
আগামী বছরের প্রথম দিন অর্থ্যাৎ ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই আইন কার্যকর হবে। আর এর মাঝের সময়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোকে এসব আইন বাস্তবায়নে বা আইন মেনে চলতে যা যা দরকার সেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে। এমনটা না হলে সেদিনই রাশিয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হবে সেসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম।
অবশ্য কারও প্রতিই কঠোর কিছু আসবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন ভ্রাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, কাউকেও বন্ধ করার কোন ইচ্ছা নেই আমাদের বরং তাদের সঙ্গে মিলে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে যখন তারা আমাদের শর্তগুলো মানতে পারে না এবং রাশিয়ান আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে পারে না তখন তারা আমাদের দূরে ঢেলে দেয়।
পুতিন আরও বলেন, যদি তারা আমাদের দেশে কার্যক্রম করতে চায়, অর্থ আয় করতে চায় তাহলে তাদের আমাদের আইন মানতেই হবে।
বর্তমানে দেশটিতে গুগলের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত চলমান আছে। রাশিয়ান ব্যবহারকারীদের তথ্য রাশিয়ার বাইরে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। ব্যবহারকারীদের তথ্য রাশিয়ান সার্ভারেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এমনটা প্রমাণ করতে না পারলে গুগলের বিরুদ্ধে ৮২ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করতে পারে রুশ প্রশাসন।
এছাড়াও দেশটির আইন না মানায় বেশকিছু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম বন্ধ থাকার নজিরও রয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট ডেইলি মোশন এবং পেশাজীবীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম লিংকড ইন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২১
এসএইচএস/এনটি