গজনী ও হেরাতের পর তালেবানরা আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দহারও দখলের দাবি করেছে। তাদের দাবি সত্যি হলে, এটি তাদের জন্য একটি বড় বিজয় বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
তালেবানদের এক মুখপাত্র আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, কান্দাহার পুরোপুরি দখলে এসেছে। বিদ্রোহীরা শহরের শহিদ স্কোয়ারে পৌঁছে গেছেন। খবর আল-জাজিরা ও এএফপির।
স্থানীয় আফগানরা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী পিছু হটেছে।
আফগান সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কান্দাহরের দক্ষিণে অবস্থিত লস্কর ঘা শহরেরও দখল নিয়েছে তালেবানরা।
আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের রাজধানীর মধ্যে ১২টি প্রদেশের রাজধানী ইতিমধ্যেই দখল করেছে তালেবান। গজনি এবং কান্দাহারের মতো আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নেওয়া এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। যদিও দেশের রাজধানী কাবুল এখনও আফগান সরকারের দখলেই রয়েছে। কিন্তু এই দু’টি শহর দখলের পর কাবুলের সঙ্গে শহরগুলোর সম্পর্ক ছিন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে তালেবান।
মার্কিন গোয়েন্দারা দাবি করেছেন, পরিস্থিতি যেভাবে এগোচ্ছে তাতে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে তালেবানরা রাজধানী কাবুলের দখল নিয়ে নেবে।
এদিকে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কাবুল থেকে নিজেদের দেশের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে আমেরিকা এবং ব্রিটেন। কাবুলে থাকা নাগরিকদের সরানোর জন্য তিন হাজার সেনাও পাঠাচ্ছে আমেরিকা এবং ৬০০ সেনা পাঠাচ্ছে ব্রিটেন। যদিও এই সেনা তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবে না।
সম্প্রতি আমেরিকার গোয়েন্দা দফতরের পক্ষ থেকে আশঙ্কা করা হয়েছে, আগামী এক মাসের মধ্যেই আফগানিস্তানের দখল পুরোপুরি তালিবানের হাতে যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২১
নিউজ ডেস্ক