নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী জারাঞ্জ শহরের দখল নেওয়ার পর তালেবানরা ‘লুটপাটের নীতি’ শুরু করে। তাদের এমন কর্মকাণ্ড এটাই বোঝায় যে, তাদের শাসন কিংবা জনগণের সেবা করার কোনো পরিকল্পনা নেই।
টোলো নিউজ জানিয়েছে, শুক্রবার জারাঞ্জ শহরের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দখলে নেওয়ার পর কিছু লোক সরকারি সম্পত্তি লুট করতে ভিড় করে।
রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা শাহুসেন মুর্তাজাভি বলেন, তালেবানদের শাসন ব্যবস্থা বা জনগণকে সেবা প্রদানের কোনো পরিকল্পনা নেই। তাই তারা লুটপাটের নীতি অনুসরণ করছে।
জাবুল প্রাদেশিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আতা জান হক বায়ান বলেন, আমি ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছি, তালেবানদের যদি ভালো কিছু করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে তাদের প্রথমে শান্তির পথে আসতে হবে। আফগানদের সাথে বসে একসাথে এই দেশ গড়ে তোলা উচিত।
তালেবানদের কাছে জারঞ্জের পতনের পর অনেক ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে গভর্নরের কম্পাউন্ডসহ সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে মালামাল সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
জারাঞ্জের আরেকটি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে বন্দীরা প্রধান প্রাদেশিক কারাগার থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। টোলো নিউজ জানিয়েছে, শনিবার তালেবানদের কাছে পরাজিত হওযার পর উত্তর আফগানিস্তানের জাওজজানের রাজধানী শেবারঘানেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে।
সেখানকার আলেমরাও সরকারি সম্পত্তি লুটের নিন্দা করেছেন।
মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ জানান, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা নিষিদ্ধ। যে কেউ সরকারি সম্পত্তি দখল করতে এলে তা রক্ষা করতে হবে।
সাধারণ আফগানরা যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতে বলে।
সরকারি ফলাফল অনুযায়ী, তালেবানরা ১১৬টি জেলার ২৬০টি সরকারি ভবন এবং সম্পদ জ্বালিয়ে দিয়েছে অথবা ধ্বংস করেছে।
গত কয়েক সপ্তাহে আফগানিস্তানে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা আফগানিস্তানের বিশাল অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এরইমধ্যে আফগান সরকার তাদের ক্ষমতায় অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। সূত্র: এএনআই
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২১
নিউজ ডেস্ক