পাকিস্তানের অধিকাংশ বড় শহরে নাগরিকদের জন্য নিরাপদ পানি নেই। ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ সরকার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে এমন তথ্যই উপস্থাপন করেছে।
পাকিস্তানের পত্রিকা ডনের খবর অনুযায়ী, বিরোধী দলীয় নেতার প্রশ্নের জবাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবলি ফারাজ যে তথ্য উপস্থাপন করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তান কাউন্সিল অব রিসার্চ অব ওয়াটার রিসোর্সেস (পিসিআরডব্লিউআর) যে ২৯টি শহরে ভূগর্ভস্থ পানি পরীক্ষা করেছে, তার মধ্যে ২০টি শহর রয়েছে যেখানে বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত ৫০ শতাংশেরও বেশি পানি অনিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়েছে।
পিসিআরডাব্লুআর সিন্ধ এবং গিলগিতের মিরপুরখাস ও শহীদ বেনজিরাবাদ (নবাবশাহ) নামে তিনটি শহরে ১০০ শতাংশ ভূগর্ভস্থ পানি পানের জন্য অনিরাপদ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
শিয়ালকোট এবং গুজরাত নয়টি উৎস থেকে প্রাপ্ত ভূগর্ভস্থ পানি ১০০ শতাংশ নিরাপদ।
জুলাই মাসে সংসদীয় সচিব জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ড. নওশিন হামিদ বলেছেন, পাকিস্তানের মাথাপিছু পানির প্রাপ্যতা ১৯৪৭ সালের ৫,৬০০ ঘনমিটার থেকে ৪০০ শতাংশ কমে ২০২১ সালে প্রায় ১,০৩৮ ঘনমিটারে দাঁড়িয়েছে।
পাকিস্তান বিশ্বের পঞ্চম জনবহুল দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, পানির অভাব একটি "অত্যন্ত গুরুতর হুমকি" যা ২০২৫ সালের মধ্যে আরও বেড়ে যাবে।
জিও নিউজ জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা এর আগে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, সময়মতো সমস্যার সমাধান না হলে সারা দেশে পানির অভাবের কারণে পাকিস্তানে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। কম বৃষ্টিপাতের কারণে নদী শুকিয়ে যাওয়ার পর দেশে পানির অভাব বিপদের ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে।
পানি বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন, যদি নতুন জলাধার তৈরি না করা হয় এবং অপচয় বন্ধ না করা হয়, তাহলে পাকিস্তান দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক ম্যাগাজিন মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পাকিস্তানকে তীব্র পানির অভাবের সম্মুখীন দেশগুলোর তালিকায় তৃতীয় স্থানে রেখেছে। সূত্র: এএনআই
বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২১
নিউজ ডেস্ক