শ্রীলঙ্কায় মাদক চোরাচালান মামলায় দণ্ডিত ৪১ জন পাকিস্তানি বন্দী সম্পর্কিত একটি মামলায় ইসলামাবাদের একটি আদালত স্বরাষ্ট্র সচিবকে তলব করেছে।
দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মাদকবিরোধী আইনের মধ্যে মিল আছে কিনা সে বিষয়ে আদালত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি প্রতিবেদন চেয়েছিল।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাজা খালিদের উদ্ধৃতি দিয়ে তারা জানায়, বন্দীদের বিষয়টি মাদকদ্রব্য বিরোধী বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে পাঠানো হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট শায়তা কুন্দির কাছে ১৫টি মামলা পাঠানো হয়েছে এবং বাকি ২৬টি অন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত এই বিষয়ে অভ্যন্তরীণ সচিবকে তলব করে এবং মামলাটি ২৪ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করে।
ডন-এর খবর অনুযায়ী, গত বছরের নভেম্বরে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটের মাধ্যমে বন্দীদের ফিরিয়ে আনা হয়। ২০০৪ সালে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক বন্দী হস্তান্তর চুক্তির (পিটিএ) অধীনে গত সাত বছরে এটি ছিল প্রত্যাবাসনের প্রথম ঘটনা। চুক্তি অনুযায়ী, যে সব ক্ষেত্রে সাজা ছয় মাসের বেশি হয়, সেখানে স্থানান্তরের অনুমতি দেওয়া হয়।
ডন জানিয়েছে, মুক্তি চেয়ে বন্দীরা ইসলামাবাদ হাই কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছেন। পিটিশনে দাবি করা হয়েছে, শ্রীলঙ্কান আইনে মাদক অপরাধের শাস্তি পাকিস্তানের আইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
বিচারপতি আমের ফারুখ অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়কে শ্রীলঙ্কান আদালত কর্তৃক প্রদত্ত শাস্তি পাকিস্তানের আইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২১
নিউজ ডেস্ক