সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান। ২০ বছর পর এবার তালেবানের শাসন কেমন হয় এটা দেখা অপেক্ষার পুরো বিশ্ব।
জেনে নিন সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে তালেবান মুখপাত্রদের মূল বক্তব্যগুলো কী ছিল-
তালেবান সরকার গঠনের লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। ‘সব পক্ষ, সব গোষ্ঠী, সবার অন্তর্ভুক্তি আমরা নিশ্চিত করব, কাজ সম্পূর্ণ হলে আমরা সরকার ঘোষণা করব,’ বলেছেন জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ।
তিনি বলেছেন, ‘নারীরা আমাদের সমাজে খুবই সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং তারা বাইরে কাজ করতে পারবে, সেটা হবে আমাদের শরিয়া আইনের কাঠামোর মধ্যে। ’
যেসব চুক্তি-ভিত্তিক কর্মী বা দোভাষী বিদেশিদের হয়ে কাজ করেছিল, তাদের ভবিষ্যত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মুজাহিদ বলেছেন, কারো বিরুদ্ধে কোনো প্রতিশোধ নেওয়া হবে না। তালেবান আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা ও শান্তির কথা মাথায় রেখে সবাইকে ক্ষমা করেছে।
তিনি বলেন, তালেবান সংবাদমাধ্যমের ভূমিকাকে সম্মান প্রদর্শনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে এবং অঙ্গীকার করেছে। বেসরকারি গণমাধ্যম স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবে।
কিন্তু জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ সতর্ক করে দিয়েছেন যে গণমাধ্যম তালেবানের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারবে না।
তালেবান শাসনের অধীনে আফগানিস্তান আল-কায়েদা বা অন্য চরমপন্থী যোদ্ধাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠবে কিনা- এই ঝুঁকি সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, আফগানিস্তানের মাটি কারো বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
তিনি আরও দাবি করেন, তালেবান তাদের অগ্রযাত্রা কাবুলের প্রবেশ দ্বারগুলোতে এসে থামানোর পরিকল্পনা করেছিল, যাতে ক্ষমতার হস্তান্তর প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হতে পারে। কিন্তু তিনি বলেন- পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেওয়ায়, শহরের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, তারা কাবুলে ঢুকতে বাধ্য হন।
বাংলাদেশ সময় ঘণ্টা: ০৯৫৬, আগস্ট ১৮, ২০২১
এসআইএস