তালেবানরা ক্ষমতা দখলের পর আফগান পুরুষদের পাশাপাশি অনেক নারী ও শিশুও দেশ ছাড়ছেন। তাদের মধ্যে গর্ভবতী নারীও আছেন।
মার্কিন বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে রোববার (২২ আগস্ট) টুইট করে এ খবর দেওয়া হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, আফগান নারীর প্রসবযন্ত্রণা শুরু হয়েছিল বিমান উড্ডয়নের পরই। বিমান তখন ২৮ হাজার ফুট উচ্চতায়, ভেতরে বায়ুচাপ কম থাকায় তীব্র শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল তার, দম যেন বন্ধ হয়ে আসছিল। তা দেখে বিমানের উচ্চতা খুব দ্রুত কমিয়ে আনেন পাইলট। যাতে বিমানের ভেতরে বায়ুচাপের পরিমাণ বাড়ে। তখনও গন্তব্য জার্মানিতে আমেরিকার ঘাঁটি থেকে কিছুটা দূরেই ছিল সি-১৭ বিমানটি। দ্রুত আকাশ-পথ পেরিয়ে মার্কিন বাহিনীর বিমানটি জার্মানির র্যামস্টিন এয়ারবেসে নামার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সন্তান প্রসব করেন ওই নারী। প্রসবে সাহায্য করেন আমেরিকার বিমান বাহিনীর সদস্যরা। পরে মা ও শিশুকে নিয়ে যাওয়া হয় এয়ারবেসের কাছাকাছি একটি হাসপাতালে।
আমেরিকার বিমান বাহিনীর টুইটে আরও জানানো হয়েছে, মা ও শিশু দু’জনেই সুস্থ আছেন। ওই নারীর মতো আর যারা কাবুল ছেড়ে অন্যত্র পালাতে চাইছেন, তাদের কয়েক জনকে নিয়ে শুক্রবার (২০ আগস্ট) মার্কিন বিমানবাহিনীর এয়ার মোবিলিটি কমান্ডের সি-১৭ বিমানটি কাবুল থেকে আকাশে ওড়ে পশ্চিম এশিয়ার উদ্দেশ্যে। সেখানেও কাবুল থেকে আসা কয়েকজনকে নামানোর কথা ছিল। তারপর সেখান থেকে জার্মানিতে আমেরিকার র্যামস্টিন এয়ারবেসে যাওয়ার জন্য আকাশে ওড়ে বিমানটি। সেই বিমানেই ছিলেন ওই শরণার্থী আফগান বধূ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২১
এজে