আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতায় ফিরে আসায় কাশ্মীর নিয়ে আশঙ্কায় আছে ভারত। নয়াদিল্লি মনে করে, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো কাশ্মীরে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী তিনি বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে পড়তে দেওয়া উচিত নয়। সোমবার জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে বিশ্ব নিরাপত্তায় তালেবানের পুনরুত্থানের প্রভাব নিয়েও মোদী আলোচনা করেন।
আফগানিস্তানকে ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এশিয়ার হৃদয় বলা হয়। সে কারণে কাশ্মীরসহ আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য দেশটির স্থিতিশীলতা জরুরি।
২০০১ সালে তালেবানের পতনের পর আফগানিস্তানের মার্কিন সমর্থিত গণতান্ত্রিক সরকারের সাথে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ করে ভারত।
অন্যদিকে ১৯৯৪ সালে ক্ষমতায় আসার সময় তালেবানকে সমর্থন দিয়েছিল পাকিস্তান। ভারত মনে করে, পাকিস্তান পর্দার আড়ালে তালেবানকে সহায়তা করে চলেছে।
পাকিস্তান এরইমধ্যে তালেবানকে স্বাগত জানিয়েছে, যার আফগানিস্তানে পাকিস্তানি প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেক পর্যবেক্ষক অনুমান করছেন, পাকিস্তান মধ্য এশিয়ায় তার প্রভাব বিস্তারের জন্য চীন এবং রাশিয়ার সাথে সহযোগিতা করবে।
নয়াদিল্লির সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা হলো, তালেবানদের বিজয় প্রতিবেশী পাকিস্তানে সশস্ত্র সংগঠনগুলিকে উৎসাহিত করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২১
নিউজ ডেস্ক