জলোচ্ছ্বাস ও টর্নেডোর প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
নিউ জার্সিতে অন্তত ২৩ জন ও নিউইয়র্কে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে একজন এবং পেনসিলভানিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। এ ছাড়া মেরিল্যান্ড ও ভার্জিনিয়াতেও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন’র প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্যার পানিতে অনেকেই বাসার বেসমেন্টে আটকা পড়েছেন। বিদ্যুৎহীন হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। পানিতে ভেসে গেছে অনেক গাড়ি। সেখান থেকে কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ভবনের ভেতর থেকে পানির স্রোত বেরিয়ে আসছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় পানির তোড়ে অনেক গাড়ি ভেসে গেছে। এ ছাড়া সেখানে অনেক গাড়ি পানিতে ডুবে থাকতে দেখা যায়।
নিউ জার্সির গভর্নর ফিল মারফি জানান, সেখানে বেশিরভাগ মানুষ বন্যায় তাদের গাড়িতে আটকা পড়ে মারা গেছেন। তাদের অনেকের পরিচয় জানা যায়নি। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে বুধবার থেকে নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়। এরই মধ্যেই টর্নেডো আঘাত হানে নিউইয়র্কে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা আগে ঘটেনি বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা।
নিউইয়র্কে জরুরি অবস্থা জারি করে গভর্নর বিল ডি ব্লাসিও বলেন, আমরা কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। শহরজুড়ে রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারী বর্ষণের কারণে রাস্তাঘাট বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বিপর্যয়কে ‘জীবন-মৃত্যুর সংকট’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, পুরো যুক্তরাষ্ট্রজুড়েই পরিবেশগত নানা বিপর্যয় অব্যাহত রয়েছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোাগ মোকাবিলায় ‘ঐতিহাসিক বিনিয়োগ’ প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২১
জেএইচটি