মিয়ানমারে যেসব ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে রোহিঙ্গাবিরোধী উসকানি দেওয়া হয়েছিল, সেসব অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রকাশ করতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আমেরিকার একটি আদালত। অ্যাকাউন্টগুলো বর্তমানে বন্ধ রেখেছে ফেসবুক।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাত দিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে।
হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে গাম্বিয়া। মামলার কার্যক্রমের জন্য ওই তথ্য প্রয়োজন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গোপনীয়তা বিষয়ক আইনের দোহাই দিয়ে তথ্য সরবরাহে অনীহা দেখিয়েছে ফেসবুক। এ নিয়ে ওয়াশিংটন ডিসির বিচারক ফেসবুকের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, যে পোস্টগুলো ডিলিট করা হয়েছে সেগুলো আইনের আওতায় পড়বে না। এগুলো শেয়ার না করলে রোহিঙ্গাদের ওপর যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে তা আরও বাড়তে পারে। তিনি ফেসবুকের প্রাইভেসি বিড়ম্বনায় ভরা বলেও মন্তব্য করেন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে এ রায় নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ফেসবুক।
মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী শ্যানন রাজ সিং টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে এই সিদ্ধান্তকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেছেন।
২০০৭ সালের আগস্টে সামরিক অভিযানের মুখে ৭ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। ওই সময় রোহিঙ্গাদের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, গণহারে হত্যা ও নির্যাতন করা হয়, বহু রোহিঙ্গা নারী ধর্ষণের শিকার হন।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো দেশটির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ হত্যা এবং গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। তবে মিয়ানমারের জান্তা সরকার বরাবরই বিষয়টি অস্বীকার করে এসেছে।
গত ১০ বছর ধরে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে দিতে ফেসবুককে ব্যবহার করা হয়েছে। জাতিসংঘের তদন্তকারীরা বলছেন, ২০১৭ সালে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে প্ল্যাটফর্মটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
সূত্র: রয়টার্স, আল-জাজিরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
এনএসআর