একাধিকবার ধর্ষণের জন্য দোষী ব্যক্তিকে রাসায়নিক ব্যবহার করে খোজা করার বিষয়ে আইন পাস করেছে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট।
ওষুধ প্রয়োগ করে যৌন সক্ষমতা কমিয়ে ফেলার এই সাজা দক্ষিণ কোরিয়া, পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক ও যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি প্রদেশে বৈধ।
রাসায়নিক ব্যবহার করে খোজা করার বিলটি পাকিস্তানে উত্থাপন করা হয় ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। ওই সময় এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, এ ধরনের শাস্তি ‘নিষ্ঠুর ও অমানবিক’।
পার্লামেন্টে পাস হওয়া বিলে বলা হয়, পাকিস্তান সরকারকে অবশ্যই দেশব্যাপী বিশেষ আদালত স্থাপন করতে হবে, যাতে ধর্ষণের বিচার ত্বরান্বিত করা যায়। একই সঙ্গে যৌন নির্যাতনের মামলা চার মাসের মধ্যে দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তি করতে হবে।
শুধু তাই নয়, গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে এই আইনে।
পাকিস্তানজুড়ে নারী ও শিশুদের ধর্ষণের হার বেড়ে যাওয়ায় অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে গণবিক্ষোভের মুখে এমন বিল পাস করা হলো।
ডন ও সিএনএন’র প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (১৮ নভেম্বর) পাকিস্তানের পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে ৩৩টি বিলের সঙ্গে ফৌজদারি আইন (সংশোধনী) বিল-২০২১ পাস হয়েছে। প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি নতুন ধর্ষণবিরোধী অধ্যাদেশ অনুমোদন দেওয়ার প্রায় এক বছর পর বিলটি পাস হলো।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২১
জেএইচটি