রাতে হঠাৎ এক ব্যক্তির আর্তচিৎকারে গ্রামের মানুষ ছুটে গেল একটি বাড়িতে। সেখানে গিয়ে দেখা গেল স্বামীকে বটি দিয়ে কোপাচ্ছেন তার স্ত্রী, আর মনে মনে বিড়বিড় করে মন্ত্র আওড়াচ্ছেন।
খবরে বলা হয়, ঘটনার খবর পেয়েই ওই বাড়িতে এসে পুলিশ দেখে, বটি দিয়ে মেয়েকে কোপাচ্ছেন মা তন্দ্রা। উন্মাদের মতো আচরণ করছেন তিনি। পাশে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন স্বামী সুবিকাশ। বাড়ির তিন জনকেই একতলার ঘর থেকে নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করেছিল পুলিশ। আর জামাকাপড় খুলে রাখা ছিল ওপরে দোতলার ঘরে। সারা ঘরে মেঝেতে চাল ছড়ানো। এই সব তথ্য সংগ্রহের পরই তদন্তকারীদের অনুমান, গোটা ঘটনায় কালা জাদুর প্রভাব থাকতে পারে।
তবে বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনার পর স্থানীয়রা পুলিশকে জানান, সুবিকাশের বাড়ি থেকে প্রায়ই প্রার্থনার শব্দ শুনতে পেতেন তারা। শুধু তাই নয়, ঘটনার সময়ও তন্দ্রাকে চিৎকার করে তারা বলতে শুনেছেন, ‘শয়তান দূর হ’। স্বামী সুবিকাশের শরীরে ‘শয়তানের বাস’ রয়েছে বলে মনে করতেন তন্দ্রা, এমনটাই জানান প্রতিবেশীরা।
সুবিকাশের চাচাতো ভাই লক্ষ্মীকান্ত ঘোষ বলেন, ঘটনার পর থেকেই অনেক অসংলগ্ন কথা বলে যাচ্ছে তার ভাবী। উন্মাদের মত আচরণ করছেন তিনি। সুবিকাশ ও তন্দ্রা বর্তমানে চুঁচুড়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সুলগ্নাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপাতত তারা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২১
এসআইএস