২০০৭ সালে প্রথমবার দেখা হয়েছিল দুজনের। এরপর শুরু হয় প্রেম।
২০১০ সালে ওই তরুণের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন তরুণী। এমনকি বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ওই তরুণীকে নানাভাবে অশ্লীল মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ উঠেছিল তরুণের বিরুদ্ধে।
এবার সেই মামলার রায় দিলেন ভারতের মুম্বাইয়ের আদালত। মামলা থেকে অভিযুক্তকে খালাস দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে বাগদত্তাকে অশ্লীল মেসেজ পাঠানো নিয়ে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আদালত।
আদালত জানিয়েছেন, বাগদত্তাকে অশ্লীল মেসেজ পাঠালে তাকে অসম্মান করা হয় না। শুনানি চলাকালীন আদালত জানান, বিয়ের আগে এই ধরনের মেসেজ আনন্দদায়ক হতে পারে। এর থেকে এটাও প্রকাশ পায় যে, একজন অন্যের আবেগকে কতটা কাছ থেকে বোঝার চেষ্টা করছেন।
পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, হয়তো এই ধরনের মেসেজ অপরপক্ষ পছন্দ করলেন না, এটা হতেই পারে। তবে তার মানে এটা নয় যে, খারাপ উদ্দেশ্যে এটা পাঠানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে নিজের অপছন্দের কথা জানিয়ে দিলে অন্য পক্ষ এমন ভুল আর করবে না। অভিযুক্তের মধ্যে যৌন অনুভূতিই হয়তো তিনি অপরপক্ষের মধ্যে জাগাতে চেয়েছিলেন। হয়তো এতে তিনি আনন্দ পেতেই পারতেন। এই ধরনের এসএমএস পাঠালে তাকে কোনোভাবেই সম্মানহানির জন্য পাঠানো হয়েছে এটা বলা যাবে না। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২১
জেএইচটি