অস্ট্রেলিয়ার নারী পার্লামেন্ট সদস্যদের ৬৩ শতাংশই যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পার্লামেন্টে উত্থাপিত রিপোর্টটিতে ১ হাজার ৭২৩ জন ব্যক্তি ও ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।
বিবিসি ও গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের প্রথম দিকে একজন মন্ত্রীর দপ্তরের সাবেক কর্মচারী ব্রিটানি হিগিনস অভিযোগ করেন, একজন সহকর্মী তাকে ধর্ষণ করেছেন। ওই ঘটনার পর রাজধানী ক্যানবেরায় এ ধরনের বহু অসদাচরণের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে থাকে।
ওই ঘটনার পর একটি অনুসন্ধান চলে। এরপর ‘সেট দ্য স্ট্যান্ডার্ড’ নামের একটি রিপোর্ট উপস্থাপন করা হলো।
রিপোর্টটির রচয়িতা এবং যৌন বৈষম্য সংক্রান্ত কমিশনার কেট জেংকিন্স বলেন, এসব ঘটনার শিকারদের মধ্যে নারীর সংখ্যা অনেক বেশি।
প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, কর্মচারীদের ৫১ শতাংশেরই কোনো না কোনো ধরনের নিগ্রহ, যৌন হয়রানি এবং যৌন আক্রমণ বা আক্রমণের চেষ্টার অভিজ্ঞতা হয়েছে।
রিপোর্টে দেখা যায়, নারী পার্লামেন্ট সদস্যদের ৬৩ শতাংশই যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। আর নারী রাজনৈতিক কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এর অনুপাত আরও বেশি।
একজন এমপি নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষী পুরুষ রাজনীতিবিদরা এগুলোকে কোনো ঘটনা বলেই মনে করে না। নারীদের উঠিয়ে নেওয়া, ঠোঁটে চুমু দেয়া, স্পর্শ করা, নিতম্বে চাপড় দেয়া, নারীর চেহারা নিয়ে মন্তব্য করা—এগুলো সাধারণ ঘটনা। ’
তিনি বলেন, ‘আমি যেটা বলতে চাই, সংস্কৃতি এটাকে অনুমোদন করেছে, উৎসাহিত করেছে। ’
এই রিপোর্টে উদঘাটিত তথ্যকে ‘চরম দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। যদিও তার বিরুদ্ধে এর আগে অভিযোগ উঠেছিল, নারী সংক্রান্ত এসব ইস্যুর বিষয়ে তিনি ‘বধির’।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২১
জেএইচটি