সারাবিশ্বে চলমান করোনা মহামারিতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচ হাজার ৪১৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে দুই হাজারের বেশি। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৩ লাখ ১৭ হাজার ৬১৬ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন চার লাখ ৯৯ হাজার ৩৮৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় এক লাখ পাঁচ হাজার। এতে বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ কোটি ৯৯ লাখ ৮২ হাজার ৬২২ জনে।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) সকালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ হাজার ৪১৪ জন। মারা গেছেন ৪৪৬ জন। এ নিয়ে দেশটিতে পাঁচ কোটি সাত লাখ ৬২ হাজার ৬৭১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন আট লাখ ১৭ হাজার ৭৮৯ জন।
দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক হাজার ১৭১ জন। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩০ হাজার ২৮৮ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৯ লাখ ৮৬ হাজার ৯৬৭ জন। মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ৮৮ হাজার ৩৫১ জনের।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২৬ জন। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন তিন হাজার ৩৫৫ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই কোটি ২১ লাখ ৮৮ হাজার ১৭৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখ ১৬ হাজার ৮৫৯ জনের।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্ত তিন কোটি ৪৬ লাখ ৮৪ হাজার ৩৯৬ জন। মারা গেছেন চার লাখ ৭৫ হাজার ১২৮ জন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪১ ঘণ্টা, ১২ ডিসেম্বর, ২০২১
এনএসআর