চলমান করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করাসহ বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করছে অস্ট্রিয়া। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশটির রাজধানী ভিয়েনায় বিক্ষোভ করেছেন প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ।
আল-জাজিরা, বিবিসিসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
অস্ট্রিয়াতে করোনার টিকা নেওয়া এখনও বাধ্যতামূলক নয়। তবে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে বিশেষ শারীরিক অসুস্থতা ব্যতীত ১৪ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। মূলত ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই এ বিক্ষোভ হচ্ছে। গত মাসে দেশটিতে টিকা না নেওয়া লোকজনের ওপর লকডাউন আরোপ করা হয়। রোববার (১২ ডিসেম্বর) লকডাউন শেষ হলেও কড়াকড়ি থাকছে।
এ সিদ্ধান্তের বিরোধীরা বলছেন, টিকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জনগণের হাতে থাকতে হবে, যাতে সমর্থন রয়েছে ডানপন্থি রাজনৈতিক দল ফ্রিডম পার্টিরও।
সরকার বলছে, কাউকে জোর করে টিকা দেওয়া হবে না। কিন্তু যারা টিকা নিতে অস্বীকৃতি জানাবে, তাদের তিন হাজার ৬০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে।
রাজধানী ভিয়েনা ছাড়াও আরও দুটি শহরেও একই দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে।
প্রায় ৯০ লাখ জনগোষ্ঠীর দেশ অস্ট্রিয়া। সেখানে এ পর্যন্ত ১২ লাখের বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে এ পর্যন্ত ১৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন ৬৮ শতাংশের বেশি মানুষ । ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে টিকা নেওয়ার এ হার নিচের দিকে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, ১২ ডিসেম্বর, ২০২১
এনএসআর